যুগে যুগে ফকীহ্‌গণ খিলাফত সম্পর্কে কী বলেছেন

Classical Scholars on Khilafah:

আমিরুল মু’মিনিন উমর আল-ফারুক (রা.) সম্পর্কে আদ-দারামি (রহ.)

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.)

আল-খতিব আল-বাগদাদী (রহ.)

ইমাম আন-নববী (রহ.)

ইমাম আল-মাওয়ার্দী (রহ.)

ইবনে তাইমিয়্যাহ্ (রহ.)

ইবনে খালদুন (রহ.)

ইমাম শামস আদ-দ্বীন আর-রামলী আল-আনসারী (রহ.)

আল-হায়ছামী (রহ.)

শেখ আলী বেলহাজ (হা.)

শেখ আত-তাহির ইবনে আশুর (রহ.)

ফকীহ্ আবু আল-ফাতেহ্ আশ-শাহরিসতানী‌ (রহ.)

قال الدارمي عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه في (سنته)

إنه لا إسلام إلا بجماعة ولا جماعة إلا بإمارة ولا إمارة إلا بطاعة فمن سوده قومه على الفقه كان حياة له ولهم ومن سوده قومه على غير فقه كان هلاكا له ولهم

Ad-Darami (rh) about Ameer ul-Mu’mineen, Umar al-Farooq (ra)

In his Sunan, Ad-Daarimi narrated from Umar (ra)

“Indeed, there is no Islam without a community (jama’ah). There is no community without an emirate. There is no emirate without obedience (Taa’ah). So, whoever his people make a ruler upon fiqh, there is life for both him and them, but whoever his people make a ruler upon other than fiqh, there is ruin for both him and them.”

আমিরুল মু’মিনিন উমর আল-ফারুক (রা.) সম্পর্কে আদ-দারামি (রহ.)

আদ-দারামি তার সুনানে উমর (রা.) হতে বর্ণিত করেন:

“নিশ্চয়ই, কোন জামা’আহ্ (সমাজ) ব্যতীত ইসলাম হয় না। কোন আমীর ব্যতীত জামা’আহ্ হয় না। কোন আনুগত্য ব্যতীত আমীর হয় না। সুতরাং, যদি কাউকে তার সমাজের লোকজন ফিকহ্‌-এর (জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার) ভিত্তিতে শাসন পরিচালনার জন্য নিয়োগ প্রদান করে, তবে তার ও তাদের উভয়ের জন্যই কল্যানকর জীবন রয়েছে, কিন্তু সমাজের লোকজন যদি তাকে ফিকহ্ (জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা) ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা শাসন পরিচালনার জন্য নিয়োগ প্রদান করে, তবে তার ও তাদের উভয়ের জন্যই ধ্বংস রয়েছে।”

قال الإمام أحمد في (مسنده) المتوفي 241ه

عن عبد الله بن عمرو أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : { لا يحل لثلاثة يكونون بفلاة من الأرض إلا أمروا عليهم أحدهم } فأوجب صلى الله عليه وسلم تأمير الواحد في الاجتماع القليل العارض في السفر تنبيها بذلك على سائر أنواع الاجتماع . ولأن الله تعالى أوجب الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر ولا يتم ذلك إلا بقوة وإمارة . وكذلك سائر ما أوجبه من الجهاد والعدل وإقامة الحج والجمع والأعياد ونصر المظلوم . وإقامة الحدود لا تتم إلا بالقوة والإمارة ; ولهذا روي } أن السلطان ظل الله في الأرض{

Imam Ahmad bin Hanbal (rh)

Imam Ahmad bin Hanbal (d. 241 AH) stated in his “Musnad”

It was narrated in his Musnad from Abdullah ibn Am’r from the Prophet (saw) who said, “It is not permissible for any three in an area of land (to be without an emir), so they must appoint one of them as an emir.” The Prophet (saw) obliged the appointment of an Amir in the small temporary gathering during the travel, clarifying this for all other types of collective. This is because Allah (swt) obliged the enjoining of good and the forbidding of evil and this is accomplished only by power and emirate. In addition, all the other obligations of the Deen, such as Jihad, justice, establishing the Hajj, the Juma’a and the Eid, the helping of the oppressed and the execution of the prescribed penalties, cannot be accomplished without power and emirate. Thus, it is narrated, “The leader (Sultan) is Allah’s shade on Earth.”

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.)

(মাজমূ’ আল ফাতাওয়াতে এসেছে) ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (মৃত্যু ২৪১ হিজরী) তার “মুসনাদে” বর্ণনা করেন,

তার মুসনাদে আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, যেকোন তিনজনের জন্য এটা অনুমোদিত নয় যে তারা কোন ভূখণ্ডে (আমীর ব্যতীত) অবস্থান করবে, সুতরাং তাদের অবশ্যই যেকোন একজনকে আমির নিযুক্ত করতে হবেরাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) সফরের সময় ক্ষুদ্র কাফেলার জন্যও একজন আমিরের নিয়োগকে বাধ্যতামূলক করেন, সে বিবেচনায় সবধরনের জনসমষ্টির জন্য এটি সতর্কবানী (যাতে তারাও আমীর নির্ধারণ করে নেয়)। কারণ আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ করাকে বাধ্যতামূলক করেছেন এবং এটি শুধুমাত্র শাসনক্ষমতা ও আমীরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এছাড়া দ্বীনের অন্য সকল অত্যাবশ্যকীয় বিষয়সমূহ যেমন: জিহাদ, ন্যায়বিচার, হজ্জ্ব প্রতিষ্ঠা, জুমু’আ ও ঈদ, নিপীড়িতদের সহায়তা করা এবং নির্ধারিত শাস্তি কার্যকর করা, যা শাসনক্ষমতা ও আমীর ব্যতীত সম্পাদন করা যায় না। সুতরাং, বর্ণিত আছে যে, শাসক (সুলতান) হচ্ছে জমীনে আল্লাহ্র ছায়া

(المتوفي 463ه) قال الخطيب البغدادي

أجمع المهاجرون والأنصار على خلافة أبي بكر قالوا له: يا خليفة رسول الله ولم يسم أحد بعده خليفة، وقيل: إنه قبض النبي صلى الله عليه وسلم عن ثلاثين ألف مسلم كل قال لأبي بكر: يا خليفة رسول الله ورضوا به من بعده رضي الله عنهم وليست العبرة ببيعة آحاد المسلمين كلهم له، بل العبرة بإجماعهم على حرمة خلو العصر من إمام، وعلو فرضية خلافة رسول الله ﷺ، فالرسول ﷺ إذ قال: «ومن مات وليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية»، يفهم من هذا أن المطلوب هو وجود خليفة له في الأعناق بيعة لا أن يبايعه كل مسلم، وبالتالي فلو كان عدد المسلمين ملياراً فليس المطلوب أن يبايع المليار، بل أن يكون على المليارِ خليفةٌ أخذ البيعة بالتراضي من الأمة أو ممن يمثل الأمة!.

Al-Khateeb al-Baghdadi (rh)

Al-Khateeb Al-Baghdadi (rh) (died 463 AH) stated,

“All the Muhajiroon and the Ansar agreed on the Khilafah of Abu Bakr (ra); they said to him: ‘O Khalifah of the Messenger of Allah’, and no one after him was called a Khalifah. It was said that after the death of the Prophet (saw), there were thirty thousand Muslims. They all called Abu Bakr a Khalifah and they, may Allah be pleased with them, accepted him as a leader after the Prophet (saw). I say: the point here is not that every individual gave allegiance to him, but the point is that they consented that the absence of Imam at that era was prohibited, and they consented on the obligation of the Khilafah (succession to the Messenger of Allah (saw); the Prophet (saw) said, “… and one who dies without having sworn allegiance will die the death of one belonging to the Days of Ignorance.” It is understood that this demands the existence of a Bay’ah on the neck for the Khaleefah and not that every Muslim must give the pledge, and therefore if the number of Muslims is billion, it is not demanded that the billion gives the pledge, but that there must be a Khaleefah present who will take the Bay’ah by consent from the Ummah or those who represent the Ummah.”

আল-খতিব আল বাগদাদী (রহ.)

আল-খতিব আল-বাগদাদী (রহ.) (মৃত্যু ৪৬৩ হিজরী) বর্ণনা করেন,

“সকল মুহাজির এবং আনসারগণ আবু বকর (রা.)-এর খিলাফত সম্পর্কে একমত হন; তারা তাকে বলেন: ‘হে আল্লাহ্’র রাসূলের খলীফা; এবং উনার পরে আর কাউকে খলীফা বলা হয়নি। এটা বলা হয়েছিল যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর মৃত্যুর পর ত্রিশ হাজার মুসলিম ছিলেন। তারা সবাই আবু বকর (রা.)-কে খলীফা বলে অভিহিত করেন, এবং তারা (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর পরে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নেন। আমি বলি: এখানে মূল বিষয়টি এই নয় যে প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রতি আনুগত্য করেছিল, বরং মূল বিষয় হচ্ছে তারা একমত হয়েছিল যে, একজন ইমামের অনুপস্থিতি নিষিদ্ধ এবং তারা খিলাফতের (আল্লাহ্’র রাসুলের (সা) উত্তরাধিকারীর) বাধ্যবাধকতার বিষয়ে একমত হন; রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “… এবং যে ব্যক্তি আনুগত্যের শপথ না করে মারা যায় সে জাহিলিয়্যাতের মৃত্যুবরণ করবে।” এই হাদীস থেকে বোঝা যায় যে এটি খলীফার প্রতি বাইয়াতের অস্তিত্বের দাবী করে। প্রত্যেক মুসলিমকেই যে বাইয়াত প্রদান করতে হবে তা নয়, অর্থাৎ যদি মুসলিমদের সংখ্যা বিলিয়ন হয় তবে বিলিয়নের প্রত্যেকের ব্যক্তিগতভাবে বাইয়াত দেয়ার প্রয়োজন নেই, বরং অবশ্যই একজন খলীফার উপস্থিতি থাকতে হবে যিনি উম্মাহ্ কিংবা উম্মাহ্’র প্রতিনিধিত্বকারীদের সম্মতিক্রমে বাইয়াত গ্রহণ করবেন।”

قال الإمام النووي في كتابه (المنهاج شرح صحيح مسلم) – المتوفي 676ه

وأجمعوا على أنه يجب على المسلمين نصب خليفة ووجوبه بالشرع لا بالعقل

Imam an-Nawawi (rh)

Imam An-Nawawi (d. 676 AH), in his book “Al-Minhaj Sharh Sahih Muslim”

“And they (the Imams) unanimously agreed that it is obligatory for Muslims to appoint a Khaleefah and the obligation is by Islamic Law, not by human reasoning.”

ইমাম আন-নববী (রহ.)

ইমাম আন-নববী (মৃত্যু ৬৭৬ হিজরী) তার “আল-মিনহাজ শারহ্ সহীহ মুসলিম” গ্রন্থে বর্ণনা করেন,

“এবং তারা (ইমামগণ) সর্বসম্মতিক্রমে একমত হয়েছেন যে, একজন খলীফা নিয়োগ করা মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক এবং এই বাধ্যবাধকতা মানব মস্তিষ্কপ্রসূত যুক্তিপ্রয়োগে নয়, বরং ইসলামী আইন দ্বারা আরোপিত হয়েছে।”

قال الإمام الماوردي في كتابه (الأحكام السلطانية) – المتوقي 450ه

الْإِمَامَةُ مَوْضُوعَةٌ لِخِلَافَةِ النُّبُوَّةِ فِي حِرَاسَةِ الدِّينِ وَسِيَاسَةِ الدُّنْيَا، وَعَقْدُهَا لِمَنْ يَقُومُ بِهَا فِي الْأُمَّةِ وَاجِبٌ بِالْإِجْمَاعِ

Imam al-Maawardi (rh)

Imam al-Maawardi (d. 450 AH) said in his book “Al-Ahkam Al-Sultania”

“The Imamate is constituted for the Khilafah of the Prophethood in guarding the Deen and the politics of the world and it is contracted upon the one who establishes it in the Ummah, as an obligation by Consensus.”

ইমাম আল-মাওয়ার্দী (রহ.)

ইমাম আল-মাওয়ার্দী (মৃত্যু ৪৫০ হিজরী) তার “আল-আহ্‌কাম আল-সুলতানিয়া” গ্রন্থে বলেন:

“দ্বীন এবং বিশ্বরাজনীতির (তথা দুনিয়া শাসনের) সুরক্ষা করতে নবুয়্যতের প্রতিনিধিত্বকারী (খিলাফতের শাসন তথা) ইমামত গঠিত হয় এবং যিনি উম্মাহ্’র মধ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করবেন সে সাপেক্ষে তার সাথে আনুগত্যের চুক্তি করা হয়, যা ইজমা দ্বারা অত্যাবশ্যক (হিসেবে প্রমানিত)।”

قال شيخ الإسلام بن تيمية في كتابه (مجموع الفتاوى) – المتوقي 728ه

يجب أن يعرف أن ولاية أمر الناس من أعظم واجبات الدين ; بل لا قيام للدين ولا للدنيا إلا بها . فإن بني آدم لا تتم مصلحتهم إلا بالاجتماع لحاجة بعضهم إلى بعض ولا بد لهم عند الاجتماع من رأس

Ibn Taymiyah (rh)

Ibn Taymiyyah (d. 728 AH) says in the book Majmou’ Al-Fataawa:

“It is obliged to know that the ruling of the people is of the greatest obligations of the Deen. Indeed the Deen cannot be established without it. The interests of the sons of Adam cannot be fulfilled except by gathering for each other’s needs; they inevitably need a leader when they gather.”

ইবনে তাইমিয়্যাহ্ (রহ.)

ইবনে তাইমিয়্যাহ্ (মৃত্যু ৭২৮ হিজরী) মাজমু’ আল-ফাতাওয়া গ্রন্থে বলেন:

“এটা জানা অত্যাবশ্যক যে, দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জনগণকে শাসন করা। নিশ্চয়ই এটা ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আদম সন্তান তাদের চাহিদা পূরণের নিমিত্তে একে অপরের সান্নিধ্যে এসে সমাজবদ্ধ হতে হয়; এবং যখন তারা সমাজবদ্ধ হয় তখন অনিবার্যভাবে তাদের একজন নেতার দরকার হয়।”

قال إبن خلدون في كتابه (المقدمة) – المتوقي 808ه

إن نصب الإمام واجب قد عرف وجوبه في الشرع بإجماع الصحابة والتابعين، لأن أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم عند وفاته بادروا إلى بيعة أبي بكر رضي الله عنه وتسليم النظر إليه في أمورهم. وكذا في كل عصر من بعد ذلك. ولم تترك الناس فوضى في عصر من الأعصار. واستقر ذلك إجماعاً دالاً على وجوب نصب الإمام

Ibn Khaldun (rh)

Ibn Khaldun (d. 808 AH) in his book, “Al-Muqadamma” stated,

“The appointment of an Imam is obligatory in Islamic Law by Consensus of the Sohaba (ra) and the Taabi’een. This is because the Sohaba (ra) of the Messenger of Allah (saw) upon his (saw) passing strove to render the Bay’ah to Abu Bakr (ra) and to entrust him with the supervision of their affairs. It was so in all subsequent periods. In no period were the people left in a state of anarchy. This was so by Consensus which evidences that the appointment of an Imam is an obligation.”

ইবনে খালদুন (রহ.)

ইবনে খালদুন (মৃত্যু ৮০৮ হিজরী) তার “আল-মুকাদ্দিমা” গ্রন্থে বলেন,

“সাহাবা (রা.) ও তাবে’ঈনদের ঐকমত্য যে, ইমাম নিয়োগ করা ইসলামী শারী‘আহ্‌ অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় তথা ফরয। এর কারণ হল, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পর সাহাবাগণ (রা.) আবু বকর (রা.)-কে বাইয়াত দিতে উদ্যোগী হন এবং শাসনকার্য তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তার (রা.) উপর ন্যস্ত করেন। পরবর্তী সকল সময়ে এই অবস্থা বিরাজ করে। কোন যুগেই জনগণকে অভিভাবকহীন নৈরাজ্যকর অবস্থার মধ্যে ফেলা হয়নি। সাহাবাদের (রা.) ঐক্যমত্যের মাধ্যমে শারী‘আহ্ দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত যে, একজন ইমাম নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক।”

قال شمس الدين محمد بن أحمد الرملي الأنصاري المشهور بالشافعي الصغير في كتابه (غاية البيان في شرح زبد ابن رسلان)

يجب على الناس نصب إمام يقوم بمصالحهم، كتنفيذ أحكامهم وإقامة حدودهم وسد ثغورهم وتجهيز جيوشهم وأخذ صدقاتهم أن دفعوها وقهر المتغلبة والمتلصصة وقطاع الطريق وقطع المنازعات الواقعة بين الخصوم وقسمة الغنائم وغير ذلك، لإجماع الصحابة بعد وفاته صلى الله عليه وآله وسلم على نصبه حتى جعلوه أهم الواجبات، وقدموه على دفنه صلى الله عليه وآله وسلم ولم تزل الناس في كل عصر على ذلك

Imam Shams Ad-Din Ar-Ramli Al-Ansari (rh)

Imam Shams Ad-Din Ar-Ramli Al-Ansari, known as the Small Shafi’i, states in his book “Ghayat Al Bayan Sharh Zubd Bin Raslan” states that,

“People must appoint an Imam who serves their interests, such as implementing their penal rules, guarding their borders, preparing armies, taking their charity if they give it, defeating the enemy and spies and high way robbers, solving conflicts, and dividing spoils and others. This is an obligation because of the consensus of the Companions after the death of the Prophet (saw) to appoint an Imam; they even made it the most important obligation, and gave it priority over the burial of the Prophet (saw), and people in every era adopted this.”

ইমাম শামস আদ-দ্বীন আর-রামলী আল-আনসারী (রহ.)

ইমাম শামস আদ-দ্বীন আর-রামলী আল-আনসারী, যিনি ছোট শাফি’ঈ নামে পরিচিত, তার “গায়াত আল-বায়ান শারহ্ জুবদ বিন রাসলান” গ্রন্থে বলেন:

“জনগণকে অবশ্যই একজন ইমাম নিয়োগ করতে হবে যিনি তাদের স্বার্থ রক্ষা করবেন, যেমন: তাদের ইসলামী দন্ডবিধি কার্যকর করা, তাদের সীমান্ত রক্ষা করা, সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করা, তারা দান করলে তাদের দান গ্রহণ করা, শত্রু ও গুপ্তচর এবং মহাসড়ক ডাকাতদের পরাজিত করা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসন করা এবং যুদ্ধলব্ধ মালামাল ও অন্যান্য সম্পদ বন্টন করা। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পরে সাহাবাগণ (রা.)-এর ইজমার (ঐক্যমত্য) কারণে ইমাম নিয়োগের বিষয়টি একটি বাধ্যবাধকতা; এমনকি তারা (রা.) এটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা হিসাবে নির্ধারণ করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর দাফনের চেয়ে এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রতিটি যুগের লোকেরা এটি গ্রহণ করেছে।”

قال الفقيه الهيثمي في كتابه (الصواعق المحرقة) – المتوفي 974ه

 اعلم أيضاً أن الصحابة رضوان الله عليهم أجمعوا على أن نصب الإمام بعد انقراض زمن النبوة واجب بل جعلوه أهم الواجبات حيث اشتغلوا به عن دفن الرسول ﷺ

Al-Haythami (rh)

Al-Haythami (rh) (died 974 aH) says in As-Saw’iq Al-Muhtariqa,

“I also know that the Companions, may Allah be pleased with them, unanimously agreed that appointing an Imam after the end of the time of Prophethood is an obligation. Indeed they made it the most important of obligations to the extent that they were occupied with it instead of with burying the Prophet (saw).”

আল-হায়ছামী (রহ.)

আল-হায়ছামী (মৃত্যু ৯৭৪ হিজরী) আস-সাওআ’য়িক আল-মুহাররাকা বলেন,

“আমি এটাও জানি যে, সাহাবাগণ (রা.) সর্বসম্মতভাবে একমত হন যে নবুয়্যতের সময় শেষ হওয়ার পরে ইমাম নিয়োগ করা অত্যাবশ্যক। নিশ্চয়ই এটিকে তারা (রা.) এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছেন যে, তারা (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর দাফনকার্য হতে তা গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব মনে করে (তা বিলম্বিত করে) এই কাজে নিয়োজিত হন।”

قال الشيخ علي بلحاج (حفظه الله) في كراسته (إعادة الخلافة)  

 “إعادة الخلافة من أعظم واجبات الدين”: “الخلافة على منهج النبوة” كيف لا وقد قرر علماء الإسلام وأعلامه أن الخلافة فرض أساسي من فروض هذا الدين العظيم بل هو “الفرض الأكبر” الذي يتوقف عليه تنفيذ سائر الفروض، وإن الزهد في إقامة هذه الفريضة من “كبائر الإثم”، وما الضياع والتيه والخلافات والنزاعات الناشبة بين المسلمين كأفراد وبين الشعوب الإسلامية كدول إلا لتفريط المسلمين في إقامة هذه الفريضة العظيمة،”

Sheikh Ali Belhaj (ha)

Sheikh Ali Belhaj (may Allah (swt) preserve him) said in his booklet, “The Restoration of the Khilafah”

“Khilafah on the method of Prophethood” is one of the greatest obligations of the Deen. How can it not be?! It is the greatest duty since the scholars of Islam and its famous people decided that the Khilafah is the fundamental obligation from the obligations of this great Deen, but is “the greatest obligation,” upon which the establishment of other obligations depend. Neglecting the establishment of their obligation is one of the “greatest sins,” and the loss, confusion, disputes, and the conflicts between Muslims, as individuals, and between the Islamic people, as countries, are only because the Muslims neglected the establishment of this great duty.”

শেখ আলী বেলহাজ (হা.)

শেখ আলী বেলহাজ (আল্লাহ্‌ তাকে হেফাজত করুন) “খিলাফতের পুনরুদ্ধার” নামক তার পুস্তিকাতে বলেন,

“নবুয়্যতের আদলে খিলাফত” দ্বীনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতাগুলোর মধ্যে একটি। কেনইবা এটা হবে না?! এটি সবচেয়ে বড় দায়িত্ব কারণ ইসলামের আলেমগণ ও এর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই সিদ্ধান্তে ঐক্যমত্য যে, খিলাফত হচ্ছে মহান দ্বীন আল-ইসলামের বাধ্যবাধকতাগুলোর মধ্যে অন্যতম মৌলিক একটি বাধ্যবাধকতা, বরং এটিই “সবচেয়ে বড় বাধ্যবাধকতা”, যার উপর অন্যান্য বাধ্যবাধকতাসমূহের প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে। তাদের বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠার অবহেলা “সবচেয়ে বড় গুনাহ্‌গুলোর” একটি। মুসলিমদের মধ্যে ব্যক্তি হিসেবে ও ইসলামী জনগণের মধ্যে দেশ হিসেবে ক্ষয়ক্ষতি, বিশৃংখলা, বিরোধ ও দ্বন্দ্বের কারণ হচ্ছে মুসলিমগণ এই মহান কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছে।”

قال الشيخ بن عاشور في (أصول النظام الإجتماعي في الإسلام) – المتوفي 1393ه

“فإقامة حكومة عامة وخاصة للمسلمين أصل من أصول التشريع الإسلامي ثبت ذلك بدلائل كثيرة من الكتاب والسنة بلغت مبلغ التواتر المعنوي. مما دعا الصحابة بعد وفاة النبي ﷺ إلى الإسراع بالتجمع والتفاوض لإقامة خلف عن الرسول في رعاية الأمة الإسلامية”

Sheikh At-Taher Ibn Ashour (rh)

Sheikh At-Taher Ibn Ashour (d. 1393) (rh) said in his book Usul AnNitham Al-Ijtima’I Fil Islam,

“The establishment of a public and specific government for Muslims is one of the origins of Islamic legislation. This has been proven by numerous evidences from the Book and the Sunnah that reached the level of Tawatur Ma’nawi which made the Sahaba after the Prophet’s passing to rush, meet and consult to appoint a successor to the Prophet (saw) in looking after the affairs of the Islamic Ummah.”

শেখ আত-তাহির ইবনে আশুর (রহ.)

শেখ আত-তাহির ইবনে আশুর (রহ.) (মৃত্যু ১৩৯৩) তার উসুল আন-নিযাম আল-ইজতিমাঈ ফিল ইসলাম কিতাবে বলেছেন,

“মুসলিমদের জন্য একটি প্রকাশ্য ও সুনির্দিষ্ট সরকার প্রতিষ্ঠা ইসলামী শারী‘আহ্‌’র মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। কিতাব ও সুন্নাহ্’র অসংখ্য দলিল দ্বারা এটা প্রমাণিত হয়েছে যা তাওয়াতুর মা’নাবী-এর স্তরে পৌঁছে গিয়েছে; এবং রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের পরে ইসলামী উম্মাহ্’র বিষয়াদি দেখাশোনার জন্য তাঁর (সাঃ) উত্তরসূরী নিয়োগের উদ্দেশ্যে এটি সাহাবাদেরকে (রা.) বৈঠক ও পরামর্শ করতে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল।”

قال الفقيه أبو الفتح الشهرستاني في كتابه (نهاية الأقدام)

 “وما دار في قلبه ولا في قلب أحد أن يجوز خلو الأرض عن إمام … فدل ذلك كله على أن الصحابة رضوان الله عليهم وهم الصدر الأول كانوا على بكرة أبيهم متفقين على أنه لا بد من إمام … فذلك الإجماع على هذا الوجه دليل قاطع على وجوب الإمامة..”

Faqih Abu Al-Fateh Ash-Shahristani (rh)

Faqih Abu Al-Fateh Ash-Shahristani (rh) stated in his book

“It was not in his heart (i.e. Abu Bakr (ra)) nor was it in the heart of anyone that it is allowed for the Earth may be free from an Imam. All this indicates that the Companions, the first generation, all agreed that there must be an Imam. Such consensus is a conclusive evidence of the obligation of the Imamah”

ফকীহ্ আবু আল-ফাতেহ্ আশ-শাহরিসতানী‌ (রহ.)

ফকীহ্ আবু আল-ফাতেহ্ আশ-শাহরিসতানী‌ (রহ.) তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন:

“তার (অর্থাৎ, আবু বকরের (রা.)) অন্তরে কিংবা অন্য কারো অন্তরে এটা ছিলই না যে পৃথিবীতে একজন ইমামবিহীন অবস্থায় থাকা বৈধ হতে পারে। এসবকিছুই নির্দেশ করে যে, সাহাবাগণ (রা.) – ইসলামের প্রথম প্রজন্ম, সকলেই একমত হন যে অবশ্যই একজন ইমাম থাকতে হবে। এ জাতীয় ঐক্যমত্য ইমামতের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত অকাট্য দলিল।”

Print Friendly, PDF & Email

ইসলামে রাজনীতি

Leave a Reply