পশ্চিমা সরকারসমূহ মালালার নারী শিক্ষার সংগ্রামের ঘটনাটিকে ঔপনিবেশিক রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করেছে
২০১২ অক্টোবর মাসে ১৫ বছরের পাকিস্তানী কিশোরী মালালা ইউসুফযাই এর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে হতভম্ব ও মর্মাহত করেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংগঠন, পশ্চিমা সরকার ও রাজনীতিবীদরা ফলাও করে একথা প্রচার করে যে, পাকিস্তানে ইসলামপন্থীরাই এ হত্যা চেষ্টার জন্য দায়ী। এবং পশ্চিমা শক্তি নারী অধিকার ও নারী শিক্ষার পক্ষে যুক্তি স্থাপন করে। প্রাক্তন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও জাতীসংঘের আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউন, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনসহ বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন সংগঠন নারী শিক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপনের জন্য তার এ সাহসিকতাকে সাধুবাদ জানায়। এ বছরের ১২ জুলাই জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে মালালাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তরুণ সমাজের উপস্থিতিতে সে প্রতিটি শিশুর বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার ও এর গুরুত্ব তুলে ধরে।
পাকিস্তানসহ সমগ্র বিশ্বে নারী শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা একটি মহতী প্রচেষ্টা। কিন্তু এ মহতী উদ্যোগের বদলে নির্লজ্জভাবে পশ্চিমা সরকারসমূহ, তাদের তাঁবেদার সংস্থা ও রাজনীতিবিদরা মেয়েটির জীবন সংগ্রাম ও হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে ব্যবহার করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থে মুসলিম নারী সমাজে পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থী মতবাদের প্রচার ও তাদের ইসলামী জীবনাদর্শ ও পরিচয়কে দুর্বল করার লক্ষ যে কাজ করছে। কিন্তু যেখানে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, তুরস্ক ও উজবেকিস্তানের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে নারী ও শিশুরা শুধু তাদের ইসলামী পোষাক হিজাব ও নিকাব পরিধান করার কারণে বিদ্যালয়ে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেখানে মালালাকে সমর্থন ও মুসলিম নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয় বৈকি। ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের রায়ের ফলে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত ফ্রান্স ও তুরস্কের মুসলিম নারীদের পক্ষে এইসব ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও রাজনীতিবিদ কেন তাদের বলিষ্ঠ কন্ঠ ব্যবহার করে না?
পশ্চিমারা মালালার ঘটনাটিকে ইসলামী অনুশাসনের বিরুদ্ধে বহুল প্রচলিত ঠুনকো অভিযোগ অর্থাৎ ইসলাম নারীদের অধিকার বঞ্চিত করে তাদের নির্যাতন করে এটি প্রচারে ব্যবহার করছে। এবং এটাও প্রচার করছে যে, মুসলিম নারীদের এখন পশ্চিমা ধাঁচের নারী মুক্তি প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে তারা দশকের পর দশক ধরে এসব মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে আসছে যেন মুসলিম বিশ্ব তাদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অক্ষুন্ন থাকে এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঠেকাতে, যা তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলবে। ইসলাম নয়, বরং পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতিই পাকিস্তানসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের নারীদের অমূল্য শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ সমগ্র অঞ্চলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আগ্রাসন, উপর্যুপরি বোমা ও ড্রোন হামলায় বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার নারী শিশু হত্যা করা হচ্ছে, যা উক্ত অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘ কমিটি তাদের শিশু অধিকার বিষয়ক রিপোর্টে উল্লেখ করে “২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বিচার আক্রমণ ও বিমান হামলায়” শত শত শিশু নিহত হয়েছে। এসব শিশুদের অধিকার তাহলে কোথায়? এটা পরিস্কারভাবে বোঝা যায় যে, এদের মৃত্যু এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থ নিশ্চিতকরণে গ্রহণযোগ্য ও স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়েছে। এসব হামলা ও আগ্রাসন এ অঞ্চলে এমন এক নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্ম দিয়েছে, যেখানে অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ এসব নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে ভীত সন্ত্রস্ত পিতা-মাতা তাদের মেয়েদের বিদ্যালয়ে এমনকি বাড়ির বাইরে বের হতে দিতে সাহস পাননা। কিভাবে নিরাপত্তাহীন, লাশের স্তুপ, ধ্বংসযজ্ঞ ও যুদ্ধকবলিত একটি রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য একটি সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে? আগ্রাসী শক্তির দখলে যাওয়ার ১০ বছর পরেও আফগানিস্তানের প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ৯ জনই অশিক্ষিত। এই হচ্ছে সেই পশ্চিমা ধ্বংসাত্মক পররাষ্ট্রনীতির নমুনা, যা মুসলিম নারীদের কাছ থেকে শুধু শিক্ষার অধিকার নয়; বরং তাদের সম্মান, নিরাপত্তা, এমনকি জীবনকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, পশ্চিমা সমর্থিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলো মুসলিম বিশ্বে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ও বিনোদন শিল্প এবং ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে উদার সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। এ উদার সংস্কৃতি নারীকে যৌন কামনা পূরণের পণ্য হিসাবে উপস্থাপন করে ও নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার পথ সুগম করে নারীদের মর্যাদা ভূলুন্ঠিত করেছে; বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মিশরের মতো মুসলিম জনবহুল রাষ্ট্রে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানী, ও অপহরণের মতো ভয়াবহ অপরাধের বিস্তার ঘটিয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে অনেক নারী শিশু শিক্ষার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হতে সাহস পায়না।
পাশাপাশি পশ্চিমা ত্রুটিপূর্ণ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। সুদসহ ঋণের ভারে জর্জরিত এসব রাষ্ট্র কোন ধরনের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে অক্ষম, কারণ তাদের জাতীয় আয়ের বেশিরভাগ ব্যয় হয় সুদসমেত ঋণ পরিশোধে; শিক্ষা, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও অন্যান্য খাতে বরাদ্দ দেবার মতো আর্থিক সঙ্গতি দেশগুলোর নেই। ফলশ্রুতিতে দেশগুলো অপর্যাপ্ত বিদ্যালয়, মানসম্মত শিক্ষায় প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত। মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী ও তাদের আইএমএফের মতো সংগঠনগুলোর নীতি এবং অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থায় অনীহার কারণে বহু অভিভাবক অনিচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের ছেলে ও মেয়ে সন্তানের মাঝে বৈষম্য করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই এটা কোন আশ্চর্যের ব্যপার নয় যে পকিস্তানের প্রায় ৬০% এবং বাংলাদেশ ও মিশরের প্রায় ৫০% নারীই শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত।
সুতরাং, প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ও পররাষ্ট্রনীতিই মুসলিম বিশ্বে নারী শিক্ষার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়।
নারী শিক্ষার বিষয়ে ইসলামে সুষ্পষ্ট নীতি রয়েছে। নিম্নোক্ত হাদীস অনুসারে মুসলিম নারীদের জন্য ইসলাম ও জীবন সম্পর্কে বিদ্যার্জন বাধ্যতামূলক। রাসূল (সাঃ) বলেন, “সকল মুসলিম নর-নারীর ওপর জ্ঞানার্জন করা ফরয।” ইসলাম মুসলিম নারীদের পারিপার্শ্বিক ও বহিঃবিশ্বের যাবতীয় জ্ঞানার্জনের নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা.) শুধু ইসলামী চিন্তাবিদই ছিলেননা; বরং তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও অন্যান্য সাধারণ বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী। শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে ইসলাম নারী পুরুষ উভয়কে জ্ঞানার্জনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে উন্নতির পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও নারী শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা একমাত্র সেই শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব যা ইসলামের বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধানই প্রকৃতভাবে কুর’আন ও সুন্নাহ্’র আলোকে প্রতিষ্ঠিত। ইসলামের বিধান অনুযায়ী খিলাফত রাষ্ট্র শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করবে। এটি ইসলামী বিধি ও অনুশাসন মেনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে, সেখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিত নারী শিক্ষিকা দ্বারা স্কুল পরিচালিত হবে। খিলাফত শাসনব্যবস্থা নারীদের ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, বিচারক, শিক্ষিকা ইত্যাদি পেশায় উদ্বুদ্ধ করবে। আর এসব কিছুর পেছনে ব্যয় বরাদ্দ করবে খিলাফতের শক্তিশালী অর্থনীতি, যেখানে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে এবং সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসেবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
শিক্ষাব্যবস্থা, গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা আর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে খিলাফত রাষ্ট্র নারীকে তার শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এমন যেকোন ভ্রান্ত ধারণা সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে। সবশেষে খিলাফত রাষ্ট্রই শারী’আহ্ আইনের ভিত্তিতে ইসলামী সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে যেখানে নারীরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে, তাকে কখনও অবমূল্যায়ন করা হবেনা, পুরুষ তাকে নিজের অভিলাষের ভিত্তিতে নয় বরং সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে যার ফলে সমাজে এমন পরিবেশ নিশ্চিত হবে যেখানে নারী ও শিশুরা নিরাপদে পড়াশুনার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারে এবং তাদের কোন প্রকার অধিকার বিন্দুমাত্র ক্ষুন্ন হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে। নারী শিক্ষার প্রসারে ও নিরক্ষরতা দূরীকরণে খিলাফত রাষ্ট্র এসকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একমাত্র খিলাফত ব্যবস্থার অধীনেই নারী শিক্ষার ইতিহাস এত সমৃদ্ধ হয়েছিল, যেখানে মারিয়াম আল ইস্তিরলাবীর মতো মনীষী ১০ম শতাব্দীতে সূর্য ও নক্ষত্রের অবস্থান নিরুপণে নক্ষত্রবিদ্যা উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। খিলাফত ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে ফাতিমা আল ফিহ্রীর মতো প্রকৌশলী, যিনি মরোক্কোতে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কারাওইন নির্মান করেন। এমন আরো হাজার হাজার নারী চিন্তাবিদ রয়েছেন, যাদের সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায় মোহাম্মদ আকরাম আন-নদভীর ৪০ খন্ডের বইয়ে। এতে তিনি খিলাফতের সময়কার ৮,০০০ মুসলিম নারী চিন্তাবিদের জীবনী তুলে ধরেছেন। এই সত্যিকার ইসলামী ব্যবস্থায় কায়রোর বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে নারীরা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছেন, যেই অধিকার পেতে পশ্চিমা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের আরো বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়। বহু ইসলামী কলেজসমূহে আজকের পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় অধিক সংখ্যক নারীরা শিক্ষিকা হিসেবে অবদান রেখেছেন। একমাত্র ইসলামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে এসব সম্ভব হয়েছে। খিলাফতই সেই রাষ্ট্র যেখানে সত্যিকার অর্থে নারীর শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত ছিলো এবং গঠনমূলক ও চমৎকার একটি শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে খিলাফত ব্যবস্থা নারী শিক্ষার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, ইন্শা’আল্লাহ্।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, মালালা নাটকের পান্ডুলিপি পশ্চিমা ঔপনিবেশিক সরকার কর্তৃক রচিত হয়েছে মুসলিম বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ ও তাদের ঔপনিবেশিক হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য এটা করছে না। তারা এ অঞ্চলে যে শিক্ষা বিস্তার করছে তা একনিষ্ঠ নয় বরং তাদের উদার, ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ বিস্তারের জন্য, যা আমাদের যুব সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছে এবং যা কঠোরভাবে বর্জন করা উচিৎ। আমাদের ইসলামের মূল ভিত্তি ও খিলাফত ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও তাদের আল্লাহ্ প্রদত্ত অধিকার সমূহ নিশ্চিত করা সম্ভব। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
“তারা মুখের ফুৎকারে আল্লাহ্’র নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ্ তার নূরকে প্রজ্জ্বলিত করবেনই যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” [সূরা আস সফ্ : ০৮]
২০ রমজান, ১৪৩৪ হিজরী
২৯ জুলাই ২০১৩, খ্রিস্টাব্দ