খবর বিশ্লেষণ: যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

খবর: রাজধানীর সংসদ ভবনের পূর্ব পাশে খেজুর বাগান রোডে যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ। এতে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন দুজন ছাত্রী এবং আহত হয়েছে অপর একজন ছাত্রী।

এছাড়া এর পূর্বেও শুধুমাত্র এই কয়েকদিনের অবরোধ/হরতালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেই বাসে/গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আহত প্রায় অর্ধ শতাধিক, নিহত ৫ (এটি লেখা পর্যন্ত)

২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের মানুষ এই অবরোধ/হরতালের নামে হাসিনা/খালেদার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখে আসছে। এইসকল যালিমেরা ধারাবাহিকভাবেই শোষণের জন্য ক্ষমতায় আসে, আর এরপর নিজেদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জনগণের ক্ষতি করে চলেছে। তাদের লালিত গুন্ডাদের দ্বারা জনগণের জান-মাল ধ্বংসে লিপ্ত। মায়ের কোলের শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তি পর্যন্ত কেউই আজ স্বস্তিতে নেই।

আবার, অন্যদিকে প্রশাসন দিয়ে জঙ্গি দমন, নিরাপত্তা বিধানের মিথ্যা ধোঁয়া উড়িয়ে জনগণের মাঝে গ্রেফতার, গুম/খুন আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে শাসকগোষ্টী। ফলে জনগণ তাদের নিজেদের গৃহেও স্বস্তিতে নেই।

আবার, এইসকল অস্থিতিশীল পরিবেশে বাজার সিন্ডিকেট মুহুর্মুহু দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। স্টেশনারি থেকে নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য সবকিছুতেই রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে দাম বেড়ে চলেছে। প্রকৃত সন্ত্রাসের জন্মদাতা এই সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক গোষ্ঠী এসি রুমে শুয়ে বসে জনগণের টাকায় দিব্যি আয়েস করে দিন কাটাচ্ছে।

নষ্ট গণতান্ত্রিক রাজনীতির সার্কাসে জনগণকে বিএনপি-আওয়ামী লীগ পরিচয়ে বিভক্ত করে নিজেদের ফায়দা লুটায় ব্যস্ত।

২০ বছরের এই গণতান্ত্রিক দুঃস্বপ্ন আমাদের ১৪০০ বছরের সোনালী ইতিহাস থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারে না। এটা আমাদের ত্বকদীর নয়। রাসূল (সা) এর প্রতিষ্ঠিত খিলাফত রাষ্ট্রের ১৪০০ বছরের শাসনে আমরা দেখছি, জনগণের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, শাসকগোষ্ঠীর জবাবদিহিতা, উম্মাহ’র ঐক্য। বর্তমান দূর্নীতিবাজ শাসকদের মত নয়, বরং এমন এক শাসনব্যবস্থা যা অর্থনৈতিক ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধায় যাকাত নেওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন এক শাসন ব্যবস্থা যেখানে কুফর শক্তি আমাদের প্রাণ প্রিয় রাসূল (সা)-কে অপমানের হিম্মত করে না। এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা উম্মাহকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসে, আর ইতিহাস এর সাক্ষী।

সুতরাং, আমাদের জন্য এটা সর্বোচ্চ সময়, যখন আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থাকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে নিজেদের পুনরায় সম্মানিত করবো। হাসিনা-খালেদার এই ক্ষমতার কামড়া-কামড়ি থেকে নিজেদের রক্ষায় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা উৎখাত পূর্বক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ফরয দায়িত্ব পালনের কোন বিকল্প নেই।

এবং রাসূল(সা) বলেছেন,

“…এরপর আবারো আসবে নবুয়্যতের আদলের খিলাফত”

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply