বাস্তবতা: ভারী বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে যাতে জলাবদ্ধতা না হয় সে জন্য অনেক ব্যয় বহুল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের একটি, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সি ডি এ) দুটি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের আওতায় ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। এর মধ্যে গত ছয় বছরে ৫ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার খরচ হলেও খুব বেশি সুফল আসেনি। জোয়ার ঠেকাতে নগরের বিভিন্ন খালের মুখে ৪০ টি জলকপাটের মধ্যে মাত্র ৫ টি নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৩৫ টি কাজ ছয় বছর ধরেই চলছে।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, (সি ডি এ) তাদের প্রকল্পের আওতাধীন খাল গুলো থেকে যে পরিমাণ মাটি (সাড়ে ৯ লক্ষ ঘনমিটার) উত্তোলনের কথা, তার চার ভাগের একভাগ ও তোলেনি। রাস্তা করার জন্য খালের প্রশস্থতা কমিয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মাটি উত্তোলন না করায় খালের গভীরতা কমেছে। জাতে পানি প্রবাহের পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া জলকপাট গুলো এখনো চালু হয়নি। পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা করেনি। এসব কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে (সিডিএ) প্রধান প্রৌকশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, তাদের প্রকল্পের আওতায় খালগুলো ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নালা গুলো পরিষ্কার করেনি। যার কারণে নালা থেকে খালে পানি নামতে পারছেনা, এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: “৭ মাসে ১০ বার ডুবল চট্রগ্রাম” প্রথম আলো প্রতিবেদন থেকে।”
মন্তব্য: চট্রগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতার অণুঘটক গুলো নিন্মরুপ:
১) জলাবদ্ধতা প্রকল্পোর জলকাপট গুলো কার্যকর রাখা হয়নি।
২) নালা ও খালগুলো পরিষ্কার করা হয়নি।
৩) অতিরিক্ত পানি জমা রাখার জন্য কোন জলাধার তৈরি করা হয়নি
৪) জোয়ারের সময় জলকপাটগুলো বন্ধ করে খাল থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প স্থাপন করা হয়নি।
সিটি কর্পোরেশন এবং সিডিএ কেবল রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে উল্লেখিত টেকনিক্যাল সমস্যা গুলোর সমাধান করতে পারেনি। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করে প্রত্যেক বছর তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে।
ধর্মনিরপেক্ষ পুজিবাদী রাজনৈতিক কাঠামোর গর্ভজাত রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক নেতৃত্বে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উদাসীন। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে তারা কেবল নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি, শান-শওকত এবং জনগণের সম্পদ লুন্ঠনের হাতিয়ার হিসাবে বুণে। মানব রচিত মতবাদ মানেই গনদুর্ভোগ। বিদ্যমান গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা এবং লুটেরা শাসকদের কাছ থেকে আমরা কি প্রত্যাশা করতে পারি? ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে রাজনীতি থেকে স্রষ্টাকে পৃথক করার কারণে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসকবৃন্দ তাদের কর্মকান্ড এবং অর্পিত দায়িত্বে ‘লাভ-ক্ষতি’ ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারে না।
ইসলামের মাধ্যমে জনগণের বিষয়াদি অভ্যন্তরীণভাবে দেখাশুনা করা ও বহিশক্তির আগ্রাসন থেকে জনগণকে রক্ষা করাই সত্যিকারের রাজনীতি। খিলাফত হলো সেই রাষ্ট্রকাঠামো যে সেটি বাস্তবে জনগণের পক্ষ থেকে বাস্তবে এই কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে। কেবল আল্লাহ্ সুবহান তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য শাসক জনগণের দেখাশুনা করবে ইনশাল্লাহ। রাসুল (সা) বলেন: “খলিফা হচ্ছেন অভিভাবক এবং তিনিই তাঁর নাগরিকদের জন্য দায়িত্বশীল।”
রায়হান রফিক