প্রশ্ন-উত্তর: খিলাফত ছাড়া কি জুমার সালাত ফরয?

নিচের অনুবাদটি সম্মানিত মুজতাহিদ ও মুফাচ্ছির শাইখ আতা ইবন খলীল আবু রাশতা (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) কর্তৃক দেয়া এক প্রশ্নের জবাব

প্রশ্ন:

একজনের সাথে আলোচনার সময় (আমরা প্রত্যক্ষ করি), একজন ব্যক্তি সময় মতোই সালাত আদায় করে কিন্তু সবার সাথে জুমা সালাত আদায় করে না। বরং, তিনি যুহর সালাত আদায় করেন। সে যা করছে সে ব্যপারে যখন আমি প্রশ্ন তুললাম তখন সে জবাবে বলল, জুমা সালাতের জন্য সহীহ হওয়ার শর্তের মধ্যে খিলাফতের উপস্থিতিও একটি শর্ত। ফুকাহারা কেউ কি এধরনের মতামত পোষন করেছেন? এ ব্যপারে দলের মতামত কী? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

জবাব:

জুমার সালাত ফরয কোনো খিলাফত থাকুক বা না থাকুক। এর দলীল সুপরিচিত আর তার মধ্যে রয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার বানী:


মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। [সূরা জুমুআ ৬২:৯]


আল-হাকিম তার মুসতাদরাক-এ আবু মুসার বরাতে বলেছেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “জুমার সালাত প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয চার জন ছাড়া: কর্তৃত্বাধীন দাস, নারী, শিশু ও রোগাক্রান্ত।” আল-হাকিম বলেন, বর্ণনাটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ যদিও তাদের কেউই তা বর্ণনা করেননি। আন-নাসা’ঈ ইবন উমর এর বরাতে যিনি নবী (ﷺ)-এর স্ত্রী হাফসা (রা) হতে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: “জুমার সালাতে গমন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে।” এসব থেকে (বিষয়টি) পরিষ্কার যে দলীলে শাসক (খলীফার) বাধ্যবাধকতা অনুপস্থিত।

এ বর্ণনাসমূহের উপর ভিত্তি করে তিন মাযহাব (মালিক, শাফেঈ, ইবন হাম্বল)-এর মতামত এসেছে। আর আহনাফ (হানাফী) জুমার সালাতের একটি শর্তের মধ্যে উল্লেখ করেন: শাসকের অনুমতি, অথবা তার উপস্থিতি অথবা তার নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিনিধির উপস্থিতি। আর এরকমই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও খুলাফায়ে রাশিদীনের আমলে ছিল। এভাবেই (বাস্তবায়িত) হবে যদি কোনো শাসক কিংবা তার প্রতিনিধি কোনো অঞ্চলে থাকে যেখানে সালাত আদায় হয়। কিন্তু যদি দুজনের কেউই মৃত্যু কিংবা কোনো ফিতনা বা অনুরূপ কোনো কারণে উপস্থিত না থাকে এবং জুমার সালাতের সময় হয়ে গিয়ে থাকে, তবে জনগণের উচিত সালাতের নেতৃত্ব দেবার জন্য কাউকে সামনে ঠেলে দেয়া। পূর্বে উল্লিখিত দলীলের কারণে, শাসকের উপস্থিত থাকার শর্ত আমাদের কাছে শক্তিশালী মতামত হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

সংক্ষেপে, জুমার সালাত একটি ফরযে আইন (ব্যক্তিগত ফরয) সেক্ষেত্রে কোনো প্রকৃত খিলাফত থাকুক অথবা কোনো খিলাফত নাই থাকুক।

আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন


Arabic Text:

السؤال:

في نقاش مع أحد الأشخاص، وهو يصلي الأوقات… لكنه لا يصلي الجمعة مع الناس، بل يصليها ظهراً، فلما أنكرت عليه ذلك قال إن وجود الخليفة شرط في صحة صلاة الجمعة، فهل يقول بهذا أحد من الفقهاء؟ وما هو رأي الحزب في ذلك؟ وجزاكم الله خيراً.

الجواب:

إن صلاة الجمعة فرض سواء أوُجِد الخليفة أم لم يوجد، والأدلة على ذلك مشهورة، ومنها:

قوله سبحانه: (( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ)) وأخرج الحاكم في مستدركه عن أبي موسى، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «الجمعة حق واجب على كل مسلم في جماعة إلا أربعة: عبد مملوك، أو امرأة، أو صبي، أو مريض» وقال الحاكم: “هذا حديث صحيح على شرط الشيخين ولم يخرجاه”. وكذلك أخرج النسائي عن عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: “رَوَاحُ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ”.وواضح من هذه الأدلة عدم تقييدها بالإمام (الخليفة)

وبهذا يقول كذلك أصحاب المذاهب الثلاثة (مالك والشافعي وابن حنبل)، وأما الأحناف فقد ذكروا من شروط الجمعة: (إذن السّلطان بذلك، أو حضوره، أو حضور نائب رسميّ عنه، إذ هكذا كان شأنها على عهد رسول اللّه صلى الله عليه وسلم وفي عهود الخلفاء الرّاشدين. هذا إذا كان ثمّة إمام أو نائب عنه في البلدة الّتي تقام فيها الجمعة، فإذا لم يوجد أحدهما، لموت أو فتنة أو ما شابه ذلك، وحضر وقت الجمعة كان للنّاس حينئذ أن يجتمعوا على رجل منهم ليتقدّمهم فيصلّي بهم الجمعة.) وشرط إذن السلطان هو رأي مرجوح عندنا للأدلة السابقة.

والخلاصة أن صلاة الجمعة فرض، سواء أكان الخليفة موجوداً أم لم يكن هناك خليفة

Leave a Reply