ইসলামী রাষ্ট্র – পর্ব ৯ (মদীনায় দাওয়াতী কার্যক্রম)

[নিম্নোক্ত প্রবন্ধটি প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক শাইখ তাকী উদ্দীন আন-নাবহানি (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক লিখিত ‘আদ-দাওলাতুল ইসলামীয়্যাহ’ (ইসলামী রাষ্ট্র) বইটির খসড়া অনুবাদ-এর একাংশ হতে নেয়া হয়েছে]

আনসারদের যে দলটি রাসূল (সা) এর সাথে আকাবায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলো, তারা মদীনায় ফিরে যাবার পর সেখানকার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় ইসলামের আহবান। পরবর্তীতে তারা আল্লাহর রাসূল (সা) এর কাছে দ্বীন ও কুরআন শিক্ষার জন্য মদীনায় একজনকে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করে। রাসূল (সা) সাধারনত যারা ইসলাম গ্রহন করতো তাদেরকে পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করতেন এবং তাদেরকে ব্যক্তিত্বকে ইসলামের আলোকে গঠন করতেন, যেন তারা পুরোপুরি ভাবেই ইসলামের আদর্শকে উপলব্ধি করতে পারে। বস্তুতঃ ইসলামের আলোকে চরিত্র গঠন করা প্রতিটি মুসলিমের অন্যতম দায়িত্ব, কারণ এর উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে চেতনাদৃপ্ত দৃঢ় ঈমান ও মানুষ বুঝতে পারে ইসলামের অর্ন্তনিহিত আদর্শ এবং ইসলামের আদর্শকে পরিপূর্ণ ভাবে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা প্রদান করে। মদীনার যে দলটি ইসলাম গ্রহন করেছিলো তারা এটা বুঝতে পেরেছিলো বলেই রাসূল (সা)-কে দ্বীন শিক্ষার জন্য একজন সাহায্যকারী পাঠানোর দাবী করেছিলো। চিঠি পাবার পর, মুহাম্মদ (সা) মদীনায় মুসা’ব ইবন উমায়েরকে নও মুসলিমদের দ্বীন শিক্ষার জন্য পাঠান।

মদীনায় আগমনের পর মুসা’ব ইবন উমায়ের আসা’দ ইবন জুরারাহর সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে পূর্ণ উদ্যমে দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করেন। তারা ইসলামের আহবান পৌঁছে দেন মদীনার বিভিন্ন গৃহ থেকে শুরু করে বেদুঈনদের ছাউনীগুলোতে পর্যন্ত। মদীনাবাসীকে কুরআন পাঠ করে শোনান। এভাবে ধীরে ধীরে একজন দু’জন মানুষ ইসলাম গ্রহন করতে শুরু করে। এ অবস্থা চলতে থাকে ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন পর্যন্ত না আউস আল-াহ জাতিভুক্ত খাতমাহ্, ওয়া’লী এবং ওয়াকিফ গোত্র ছাড়া আনসারদের প্রতিটি গৃহে ইসলামের আহবান ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি রাসূল (সা)-এর কাছে নও মুসলিমদের একত্রিত  করার অনুমতি চেয়ে পত্র লিখেন। রাসূল (সা) তাকে অনুমতি প্রদান করেন এবং বলেন, “ইহুদীরা সাববাথের ঘোষনা দেয়া পর্যন্ত তোমরা অপেক্ষা করবে। তারপর, বিকেলবেলায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্মিলিত ভাবে দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং  নামাজ  শেষে  তোমার  বক্তব্য (খুতবা)  প্রদান  করব”। রাসূল (সা)  এর  আদেশক্রমে,  মুসা’ব  ইবন  উমায়ের  নও  মুসলিমদের  সা’দ  ইবন খায়সামার গৃহে একত্রিত করেন। প্রায় বারোজন মদীনাবাসী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি একটি ছাগল জবাই করে তাদের আপ্যায়ন করেন। ইতিহাস অনুযায়ী মুসা’ব ইবন উমায়েরই হচ্ছে প্রথম মুসলিম যিনি জুমার নামাজ প্রতিষ্ঠিত করেন।

মুসা’ব ইবন উমায়ের এভাবে মদীনায় তার দাওয়াতী কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন এবং মদীনাবাসীকে দ্বীন শিক্ষা দিতে থাকেন। একদিন আসা’দ

ইবন জুরারাহ মুসা’ব ইবন উমায়েরকে সঙ্গে করে বনু আল-আসহাল এবং বনু জা’ফর এর এলাকায় প্রবেশ করে (ঘটনাক্রমে সা’দ ইবন মুয়াজ ছিলো আসা’দ ইবন জুরারার মায়ের সম্পর্কের ভাই)। তারা দু’জন এবং মদীনার আরও কিছু নও মুসলিম বনু জা’ফর গোত্রের এলাকাভুক্ত মারক্ব নামের একটি কুপের পাশে একত্রিত হয়। এ সময়ে সা’দ ইবন মুয়াজ এবং উসাইদ ইবন হুদায়ের ছিলো তাদের নিজ নিজ গোত্রের প্রধান। বনু ’আবদ আল-আসহাল এবং অন্যান্য গোত্রগুলোও তাদের অনুসরনকারী মুর্তিপূজারী ছিলো। যখন সা’দ ইবন মুয়াজ শুনলো যে, মুসা’ব ইবন উমায়ের তাদের এলাকায় প্রবেশ করেছে, তখন সাথে সাথে সে উসাইদ ইবন হুদায়েরকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়ে বললো, “যারা আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে আমাদের গোত্রের লোকদের বোকা বানাচ্ছে তাদের কাছে যাও। তাদের আমাদের সীমানা থেকে বের করে দিয়ে বলো যেন তারা আর কখনো আমাদের এলাকায় প্রবেশ না করে।”

সা’দ ইবন মুয়াজ আরও বলে যে, আসা’দ ইবন জুরারার সাথে যদি আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকতো তবে আমি তোমাকে এ ঝামেলার মধ্যে ঠেলে দিতাম না। কিন্তু, সে আমার সম্পর্কে খালাতো ভাই, তাই আমার পক্ষে তার বিরুদ্ধে কোনকিছু করা সম্ভব নয়। একথা বলার পর, উসাইদ তার বর্শা তুলে নিলেন এবং মুসা’ব ইবন উমায়ের এর দলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। আসা’দ উসাইদকে দেখার সাথে সাথে মুসা’বকে বললেন, “এই যে লোকটি তোমার দিকে আসছে সে হলো এ গোত্রের প্রধান। তুমি তাকে আল্লাহ ওয়াস্তে সত্য কথা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দাও”। মুসা’ব বললো, “যদি সে আমাদের সাথে বসতে রাজী হয়, তবে আমি তার সাথে কথা বলবো”। উসাইদ ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে তাদের সামনে এসে দাঁড়ালো এবং বললো, “কেন তোমরা আমাদের মধ্যকার দূর্বল লোকদের বিভ্রান্ত করছো? তোমাদের উদ্দেশ্য কি? আমাদেরকে আমাদের বিশ্বাসের উপর ছেড়ে দাও”। মুসা’ব বললেন,“আপনি কি আমাদের সাথে বসে একটু আমাদের কথা শুনবেন? যদি আমাদের কথা আপনার ভালো লাগে তাহলে গ্রহন করবেন। আর যদি না ভালো লাগে তাহলে প্রত্যাখান করবেন”। উসাইদ মুসা’ব ইবনে উমায়ের এর এ যৌক্তিক প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেলেন। তারপর তার বর্শা মাটিতে গেঁথে মসা’বের সামনে বসলেন। মুসা’ব (রা) তাকে ইসলামের আদর্শ ও জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করলেন এবং কুরআন তিলওয়াত করে শোনালেন। উপস্থিত মুসলিমদের বর্ণনা অনুযায়ী, “আল্লাহর কসম, সে কিছু বলবার আগেই আমরা ইসলামের দীপ্তি তার চোখেমুখে লক্ষ্য করছিলা”। উসাইদ বললো, “কি চমৎকার কথাই না তোমরা বলছো! তো তোমাদের দ্বীন গ্রহন করতে হলে আমাকে কি করতে হবে?” তারা বললো, “তোমাকে অবশ্যই প্রথমে গোসলের করে পবিত্র হতে হবে, তোমার পোশাক পবিত্র করতে হবে, তারপর সত্যকে সাক্ষী দিয়ে শাহাদাহ পাঠ করার পর দু’রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে”। উসাইদ সাথে সাথে তাই করলেন এবং বললেন, “আমার পেছনে আমি এক ব্যক্তিকে রেখে এসেছি, সে যদি তোমাদের দ্বীন গ্রহন করে তবে তার গোত্রের লোকেরাও তাকে অনুসরন করবে। আমি এখনই তাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তার নাম হচ্ছে সা’দ ইবন মুয়াজ।”

উসাইদ তার বর্শা হাতে দ্রুত পায়ে সা’দ ইবন মুয়াজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেন। সা’দ তখন তার গোত্রের লোকদের সাথে বসে আলোচনা করছিলো। যখন সা’দ উসাইদকে আসতে দেখলেন সে বললো, “আল্লাহর কসম, যে উসাইদ এখান থেকে গিয়েছে আর যে ফিরে এসেছে তারা দু’জন এক নয়”। অতঃপর উসাইদ আসার পর তার কাছে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন, বললেন, “আমি দু’ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি এবং তাদের মধ্যে কোনরকম খারাপ কোনকিছু দেখতে পাইনি। আমি তাদের কাজে আর অগ্রসর হতে নিষেধ করার পর তারা বলেছে, তুমি যেটা বলবে আমরা সেটাই করবো; তারপর তারা বললো, আসা’দ ইবনে জুরারাহ তোমার খালাতো ভাই হয় এটা জানার পরও বনু হারিছাহ গোত্র তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলো যেন তুমি সমাজের কাছে আত্মীয়ের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ এবং বিশ্বাসঘাতক হিসাবে প্রমাণিত হও।

বনু হারিছাহ গোত্র সম্পর্কে একথা শোনার সাথে সাথে সা’দ ইবন মুয়াজ ক্রোধান্বিত হয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর তার বর্শা হাতে নিয়ে বললো, “আল্লাহর কসম, আমি দেখতে পাচ্ছি তুমি আসলে তোমার কাজে ব্যর্থ হয়েছো।”তারপর সে মুসা’ব এবং আসা’দ এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলো। সেখানে গিয়ে সা’দ দেখলো তারা খুব আয়েশের সাথে দলবল নিয়ে সেখানে বসে আছে। সা’দ ইবন মুয়াজ বুঝলো আসলে উসাইদের ইচ্ছা ছিলো সে যেন তাদের কথা শোনে। অত্যন্ত রাগান্বিত আর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে সে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াঁলো এবং আসা’দকে উদ্দেশ্য করে বললো, “শোন আবু উমামা, আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে সে সম্পর্কের ভিত্তিতেই কি তোমার আমার প্রতি আচরন করা উচিত নয়? তুমি কি আমার বাসভূমিতে এসে এমন কিছু করতে চাও যা আমরা ঘৃণা করি?” ইতিমধ্যে সা’দকে দেখার সাথে সাথে আসা’দ মুসা’বকে বলেছিলো, “হে মুসা’ব, আল্লাহর কসম, এই গোত্রগুলো যাকে অনুসরন করে সে নিজেই এখন তোমার সামনে উপস্থিত। সে যদি তোমার অনুসরনকারী হয়, তবে তার গোত্রের কোন লোকই আর পিছে পরে থাকবে না।”মুসা’ব তাকে আগের মতোই বললেন, “আপনি কি বসে একটু আমাদের কথা শুনবেন না? যদি আপনার আমাদের কথা ভালো লাগে তাহলে গ্রহন করবেন আর না ভালো লাগলে প্রত্যাখান করবেন।”মুসা’ব ইবন উমায়ের এর এ যৌক্তিক প্রস্তাবে সা’দ রাজী হয়ে গেলো এবং তার বর্শা মাটিতে গেঁথে তাদের সামনে বসলো। মুসা’ব তাকে ইসলামের আদর্শ ব্যাখ্যা করলেন এবং কুরআন তিলওয়াত করে শোনালেন।

উপস্থিত মুসলিমদের বণর্না অনুযায়ী, “আল্লাহর কসম, সে কিছু বলবার আগেই আমরা ইসলামের দীপ্তি তার চোখে মুখে দেখতে পাচ্ছিলাম”। উসাইদের মতো একই ভাবে সা’দ বললো, “কি চমৎকার কথাই না তোমরা বলছো! তো তোমাদের দ্বীনে প্রবেশ করতে হলে আমাকে কি করতে হবে?” মুসলিমরা বললো এজন্য তোমার নিজেকে এবং তোমার পোশাক-পরিচ্ছদকে পবিত্র করতে হবে। তারপর সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে শাহাদাহ পাঠ করে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করতে হবে। একথা শোনার পর সা’দ ইবন মুয়াজ তৎক্ষনাৎ তাই করলো এবং বর্শা হাতে তার গোত্রের লোকদের কাছে ফিরে গেলো। সেখানে উসাইদ ইবন হুদায়ের তার গোত্রের লোকদের সাথে আলোচনা করছিলেন। তারা সা’দকে আসতে দেখে বললো, “আল্লাহর কসম, যে সা’দ আমাদের এখান থেকে গিয়েছে আর যে ফিরে এসেছে তারা দু’জন এক নয়”। গোত্রের লোকেরা তার পথ রোধ করে দাঁড়ালে সা’দ ইবন মুয়াজ তাদের জিজ্ঞেস করলো, “হে বনু আবদ আল-আসহাল, তোমরা তোমাদের উপর আমার কর্তৃত্বকে কিভাবে পরিমাপ করো?” তারা বললো, “আপনি আমাদের গোত্র প্রধান, আমাদের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা বেশী সজাগ, সবচাইতে ন্যায়বিচারক এবং নেতা হিসাবে সবচেয়ে বেশী সৌভাগ্যবান”। একথা শোনার পর সা’দ বললো, “আমি ততক্ষন পর্যন্ত তোমাদের সাথে কথা বলবো না যতক্ষন পর্যন্ত না তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর ঈমান আনো”। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদ আল-আসহাল গোত্রের সকলে ঈমান আনলো। মুসা’ব ইবন উমায়ের তারপর আসা’দ ইবন জুরারাহর গৃহে ফিরে আসলেন এবং তার গৃহেই অতিথি হিসাবে বাস করতে লাগলেন। এর সাথে তিনি তার দাওয়াতী কার্যক্রমও অব্যহত রাখলেন যে পর্যন্ত না আনসারদের প্রতিটি গৃহে অন্তত একজন মুসলিম নারী ও পুরুষ ইসলাম গ্রহন করলো। এভাবে মুসা’ব ইবন উমায়ের একবছর মদীনাতে অবস্থান করলেন, আউস ও খাযরাজ গোত্রকে দ্বীন শিক্ষা দিলেন এবং বুক ভরা আনন্দ নিয়ে প্রত্যক্ষ করতে লাগলেন আল্লাহর শাসন-কর্তৃত্ব ও সত্য দ্বীনের সাহায্যকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা।

মুসা’ব (রা) সাধারনত মদীনার প্রতিটি গৃহে যেতেন, তাদের সাথে কথা বলতেন এবং তাদের কাছে আল্লাহর রাসূল (সা) এর আহবান পৌঁছে দিতেন। তিনি মদীনার ক্ষেত-ক্ষামারে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলতেন এবং তাদেরকে ইসলামের দিকে আহবান করতেন। তিনি মদীনার নেতৃস্থানীয় মানুষদের সাথেও বিতর্ক করতেন এবং তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। দাওয়াতের বিস্তৃতির ব্যাপারে তিনি প্রায়ই কিছু কৌশল অবলম্বন করতেন, যেমনটি তিনি করেছিলেন আসা’দ ইবন জুরারাহর ক্ষেত্রে, যেন সত্য দ্বীনের আহবান সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এ রকম বিভিন্ন কৌশলপূর্ন দাওয়াতী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি একবছরের মধ্যে সে সমাজের মানুষের মুর্তিপূজার মতো বিকৃত ও ক্ষয়ে যাওয়া ধ্যান-ধারনা ও ভ্রান্ত আবেগ-অনুভূতিগুলোকে পরিবতর্ন করে তাদের মধ্যে তাওহীদ, ঈমান ও ইসলামী চিন্তা-চেতনার বীজ বপন করেছিলেন। যা তাদের অন্তর থেকে শিরক এর সকল শাখা-প্রশাখাকে সমূলে উৎপাটিত করেছিলো এবং তাদের প্রতারনা, ঠকবাজি সহ সকল পাপের  পথ  থেকে  বিরত  রেখেছিলো।  মুসা’ব  ইবন  উমায়ের  এবং  ইসলাম  গ্রহনকারী  মুসলিমদের  নিরলস  প্রচেষ্টা  ও  বিভিন্ন  কার্যক্রম মাত্র একবছরের মধ্যে মদীনাবাসীকে শিরকের নিকষ কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত জনগোষ্ঠি থেকে পরিণত করে ইসলাম গ্রহনকারী জনগোষ্ঠিতে।

Leave a Reply