প্রশ্ন-উত্তর: সিনেমায় যাওয়া ও অশ্লীল ছবি দেখা কি বৈধ?

সিনেমায় যাওয়া কিংবা সাধারণ সিনেমা দেখা কি বৈধ? যৌন-উত্তেজক অশ্লীল সিনেমা দেখা, এটি জেনে যে এগুলো ছবি মাত্র, সরাসরি শরীর নয়? যেসব মুসলিম এ ধরনের ছবি দেখে তাদের ব্যাপারে আমাদের দায়িত্ব কী: আমরা কি তাদের বারণ করবো নাকি যা খুশি করার ব্যাপারে তাকে ছেড়ে দেব?

উত্তর: সিনেমায় যেয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছবি দেখা বৈধ, এ শর্তে যে হলে নারীদের সারি পুরুষদের সারি হতে পৃথক রয়েছে। এটি কোনো লেকচার বা সেমিনারে অংশ নেয়ার মতো, এটি করা বৈধ, এ শর্তে যে নারী ও পুরুষের সারি একে অপর হতে পৃথক রয়েছে।

তবে – যেটি বৈধ – উল্লিখিত শর্তানুসারে, ছেড়ে দেওয়াই উত্তম, যাতে হলে উপস্থিত নারীদের কারো কারো লজ্জাস্থানের উপর চক্ষু না পড়ে, যাতে কর্ণ হলের শ্রোতাদের অসংগতিপূর্ণ কণ্ঠ না শুনতে পায়। যৌন উত্তেজক অশ্লীল ছবি দেখা বৈধ নয়, যদিও বা তা কেবল ছবিই হয় এবং বাস্তব শরীর না হয়। কারণ এ বিষয়ের ক্ষেত্রে শরীআহ মুলনীতি অনুযায়ী – (الوسيلة إلى الحرام حرام) ‘হারামের দিকে যা-ই ধাবিত করে তা-ই হারাম’, এ শর্ত নিশ্চিতভাবে ধাবিত না করলেও প্রযোজ্য, সম্ভাবনা থাকলেই যথেষ্ঠ।

সাধারনত এ ধরনের ছবি, যারা এগুলো দেখে তাদের হারামে ধাবিত করে, সুতরাং এ মুলনীতি এসব ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তাই এগুলো দেখা কিংবা ক্রয় করা বৈধ নয়।

আর (ইসলামের দায়ী) শাবাবগণ কিরূপ আচরণ করবে তাদের প্রতি যারা এসব দেখে; অধিকাংশ মানুষ যারা এগুলো দেখে তারা নিচু প্রকৃতির মানুষ যারা কথা বা দাবি মানতে চায় না, কেবলমাত্র তারা ছাড়া যারা আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত। তবুও যদি শাবাবগণ কেনো শক্তিশালী বাধাদানকারী ও বুদ্ধিবৃত্তিক উপায় খুঁজে পায়, তবে তারা তা ব্যবহার করতে পারে। হতে পারে যে ব্যক্তি প্রশ্ন করেছেন তিনি তার কোনো আত্মীয়ের ব্যাপার বুঝিয়েছেন, যিনি তার এ অসুস্থ আচরনে বিষন্ন, সেক্ষেত্রে তার উচিত তাদের এসব আচরণ হতে তাড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া, এ আশা রেখে যে আল্লাহ তাদের সঠিক পথ দেখাবেন, এবং সে এতে পুরস্কৃত হবে, আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী।

বর্তমানে, খিলাফতের অনুপস্থিতিতে মুসলিমগণ সকল দিকে হতে দুর্যোগে পরিবেষ্টিত, (এ বাস্তবতায়) একজন মুসলিমের কেনো সময়ই থাকা উচিত না হালাল আমোদ-প্রমোদের, সুতরাং কিভাবে হতে পারে যে হারামে সময় কাটাচ্ছে (আল্লাহ রক্ষা করুন)? হে ভাইয়েরা, মুসলিমদের শক্তিশালী ও প্রজ্ঞার সাথে দিক-নির্দেশনা দেয়া আপনাদের কর্তব্য, যাতে তাদের সময় কেবল ভালো কাজ করায় পরিপূর্ণ থাকে, খিলাফতে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ ও অধ্যবসায় করা, যাতে উম্মতকে এসব দুর্যোগ হতে উদ্ধার করা যায়।

মূল: শায়খ আতা ইবন খলীল আবু রাশতা কর্তৃক এক প্রশ্নোত্তর

উৎস: ইংরেজি
আরো পড়ুন: হারামের উপায়ও হারাম হিসেবে সাব্যস্ত হবে

Leave a Reply