আবদুল্লাহ ইবন মাখরামা (রা)

পুরো নাম আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ, পিতা মাখরামা ইবন আবদিল উযযা এবং মাতা বাহসানা বিনতু সাফওয়ান। কুরাইশ বংশের আমেরী শাখার সন্তান। (আল ইসাবা-২/৩৬৫)।

ইসলামী দাওয়াতের সূচনা লগ্নে মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করেন। জাফর ইবন আবী তালিবের (রা) সাথে হাবশাগামী দ্বিতীয় দলটির সাথে হাবশায় হিজরাত করেন। সেখান থেকে সরাসরি মদীনায় চলে যায় এবং হযরত কুলসুম ইবন হিদামের বাড়ীতে অতিথি হন। হরযত রাসূলে কারীম সা: ফারওয়া ইবন আমর আল বায়াদীর (রা) সাথে তার দ্বীনী ভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে দেন। মদীনায় আসার পর সর্ব প্রথম বদর যুদ্ধে যোগদান করে বদরী সাহাবী হওয়ার মহা সম্মান অর্জন করেন। তখন তার বয়স ত্রিশ বছর। বদরের পর, উহুদ সহ সকল যুদ্ধে তিনি রাসূল সা: এর সাথে যোগ দেন।

হযরত আবদুল্লাহর (রা) শাহাদাত লাভের এত তীব্র বাসনা ছিলো যে, দেহের প্রতিটি লোম রক্ত রঞ্জিত করার জন্য সর্বদা ব্যাকুল থাকতেন। তিনি দুআ করতেন: হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ততক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিওনা, যতক্ষণ না আমার দেহের প্রতিটি জোড়া আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। তার এ দুআ কবুল হয় এবং অনতিবিলম্বে সে সুযোগও এসে যায়।

হযরত আবু বকর সিদ্দীকের সা: খিলাফতকালে রিদ্দা বা ধর্মত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে তিনি একজন মুজাহিদ হিসেবে যোগ দেন। মুরতাদদের বিরুদ্ধে তিনি এত নির্মম ভাবে যুদ্ধ করেন যে, তার সারা দেহ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। পবিত্র রমজান মাস। তিনি সাওম পালন করছিলেন। সূর্যাস্তের সময় যখন তারও জীবন সন্ধা ঘনিয়ে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাখরামা (রা) খোঁজ নিতে এসেছেন। আবদুল্লাহ ইবন মাখরামা (রা) তাকে জিজ্ঞেস করেন, আমার জন্যও একটু পানি আনুন না। পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখেন তার প্রাণহীন দেহটি পড়ে আছে। তিনি ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র একচল্লিশ বছর। (আল ইসাবা-২/৩৬৫)।

ইলম, আমল, তাকওয়া ও পরহেযগারীর দিক দিয়ে তিনি ছিলেন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। উসুদুল গাবা গ্রন্থকার লিখেছেন, তিনি ছিলেন মাহাত্মের অধিকারী একজন আবেদ ব্যক্তি।

ওয়াকিদ ইবন আবদিল্লাহ (রা)

আনাস ইবন মালিক (রা)

Leave a Reply