রাসূলুল্লাহ (সা) গোত্রসমূহকে প্রতিবছর মাজান্না, উ’কাজ এবং মিনায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ও তার নিজের প্রতি ক্রমাগতভাবে আহ্বান জানাচ্ছিলেন, যাতে করে তিনি তাঁর রবের বাণী নিরাপদে মানুষের দ্বারে পৌঁছে দিতে পারেন এবং এর প্রতিদানে তারা জান্নাত অর্জন করতে পারে। আরবের একটি গোত্রও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং তিনি নির্যাতিত ও চরিত্র হননের অপচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন যতক্ষণ না আল্লাহর ইচ্ছায় দ্বীন বিজয়ী হওয়া, প্রভূর মদদপুষ্ট হওয়া ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হওয়ার সময় এসেছিল। অত:পর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা রাসূলুল্লাহ (সা) কে আনসারদের একটি গোত্রের কাছে প্রেরণ করেন। তিনি (সা) এমন একটি দলের সাথে বসলেন যারা তাদের মাথা মুন্ডন করছিলেন । রাসূলুল্লাহ (সা) তাদের সাথে বসেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রতি আহ্বান করেন এবং তাদের কোরআন তেলাওয়াত করে শোনান। তারা খুব দ্রুত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ও রাসূলুল্লাহ (সা) এর ডাকে সাড়া দেন এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনেন। Then they went to Madinah and invited their people to Islam; henceforth people started to embrace Islam.
পরের বছর হজ্জ্বের মওসুমে মদীনার আওস ও খাজরাজ গোত্রের বারজন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে আল আকাবা নামক স্থানে দেখা করেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন। এটা ছিল আকাবার প্রথম সাক্ষাৎ যেখানে বায়াতুন নিছা বা নারীদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মুসয়াব বিন উমায়ের (রা) কে মদীনায় প্রেরণ করেন। তিনি (সা) মুসায়েব (রা) কে সেখানে কুরআন পাঠ করবার, মদীনাবাসীকে ইসলাম ও দ্বীন শিক্ষা দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আল মুকরী (তেলাওয়াতকারী) হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং আসাদ বিন জুরারাহ এর সাথে থাকতেন। অতপর উসায়েদ বিন হাদায়ের ও সাদ বিন মুয়া’জ ঈমান আনেন। তারা ছিলেন মদীনায় নেতৃস্থানীয়। যখন পরেরজন ইসলাম গ্রহণ করল তখন তিনি তার জনগণের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘তোমাদের মাঝে আমাকে তোমরা কিভাবে দেখ?’ তারা প্রত্যুত্তরে বলল, ‘আমরা তোমাকে আমাদের অভিভাবক এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তি মনে করি এবং সত্য পথে একজন নেতা ভাবি।’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের পুরুষ এবং নারীগন ততক্ষণ আমার সাথে কথা বলতে পারবে না যতক্ষণ তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর।’ বিকেলের মধ্যে আবদুল আশ-হাল এর বাড়ীতে এমন একজন পুরুষ ও নারী খুঁজে পাওয়া গেল না যে মুসলিম হয়নি।