ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা (রা)

নাম ওয়ালীদ, পিতা ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা। কুরাইশ গোত্রের বনী মাখযুম শাখার সন্তান। প্রখ্যাত সাহাবী ও সেনানায়ক হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ ও হিশাম ইবনুল ওয়ালীদের ভাই। একটি বর্ণনায় জানা যায়, তিনি হিশামের সহোদর ও খালিদের বৈমাত্রীয় ভাই। হযরত রাসূলে কারীমের সা: মক্কী জীবনে ওয়ালীদ ইসলাম গ্রহণ করেননি। এ সময় মুসলমানদের সাথে তার আচরণ কেমন ছিল, সীরাত গ্রন্থাবলীতে সে সম্পর্কে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে দেখা যায়, মক্কার কুরাইশ বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং পরাজিত হয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ মতান্তরে সুলাইত ইবন কায়েসের সা: হাতে বন্দী হন। (আনসাবুল আশরাফ-১/৩০২)।

ওয়ালীদের অন্য দুই ভাই খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ ও হিশাম ইবনুল ওয়ালীদ তাকে ছাড়িয়ে নিতে আসেন। আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ চার হাজার দিরহাম মুক্তিপণ দাবী করেন। এতে মোটা অংকের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে খালিদ দ্বিধার ভাব প্রকাশ করেন। এতে হিশাম খুব রেগে গিয়ে খালিদকে বলেন: তোমার কি, তুমি তো আর তার ভাই নও? আবদুল্লাহ যদি এর চেয়েও বেশি দাবী করে তবুও তাকে মুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন: ওয়ালীদ ‍তার কাওমের ধর্মের ওপর থাকা অবস্থায় বন্দী হন এবং চার হাজার দিরহামের বিনিময়ে মুক্তিলাভ করেন। অন্য একটি বর্ণনা মতে, হযরত রাসূলে কারীম সা: ওয়ালীদের মুক্তির বিনিময়ে তার পিতার ঢাল, বর্ম ও তরবারী দাবী করেন। তার ভাইয়েরা সেই দাবী পূরণ করে তাকে মুক্ত করেন। (আনসাবুল আশরাফ-১/২১০)

ওয়ালীদ মুক্তি পেয়ে ভাইদের সাথে মক্কার পথে যাত্রা করলেন। যুল হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছার পর ভাইদের নিকট থেকে পালিয়ে আবার মদীনায় রাসূল সা: এর নিকট ফিরে আসেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ভাইয়েরা ফিরে এসে আবার তার সাথে দেখা করে বলেন, যদি তোমার মুসলমান হওয়ার ইচ্ছা ছিল, তাহলে মুক্তিপণ দেওয়ার পূর্বে হলে না কেন? শুধু শুধু পিতার স্মৃতিচিহ্নগুলি নষ্ট করলে। ওয়ালীদ তাদেরকে বলেন, অন্য কুরাইশদের মত আমিও মুক্তিপণ প্রদান করে মুক্ত হতে চেয়েছিলাম। মুক্তির পূর্বে আমি ইসলামের ঘোষণা এ জন্য দেইনি যে, যাতে কুরাইশরা এমন কথা বলতে না পারে, আমি ফিদিয়া বা মুক্তিপণ দেওয়ার ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছি।

ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ভাইদের সাথে আবার মক্কার পথে যাত্রা করেন। পথে তার ভাইয়েরা তো তেমন কিছু বললো না। কিন্তু মক্কায় পৌঁছে অন্যান্য অত্যাচারিত মুসলমানদের মত ‍তাকেও বন্দী করলো এবং তার মত অন্য বন্দী-আইয়াশ ইবন রাবীয়া, হিশাম ইবনুল আস, সালামা ইবন হিশাম প্রমূখের সাথে এক ঘরে আটক করলো।

ঐতিহাসিকরা বলেছেন, এসব বন্দীদের ওপর কুরাইশরা অমানুষিক নির্যাতন চালাতো। তাদের হত্যারও হুমকি দেয়া হতো।

কালবী বলেন: যাদের কোন গোত্রীয় শক্তি বা জনবল ছিল না এমন একটি দূর্বল সম্প্রদায়কে ইসলাম গ্রহণের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকে দ্বীন ত্যাগ করেছে, অভিজাত ঘরের অনেকে ইসলাম গ্রহণ করে পরীক্ষায় সম্মুখীন হয়েছে। যেমন: সালামা ইবন হিশাম ইবনুল মুগীরা, ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা, আইয়াশ ইবন রাবীয়া প্রমূখ। (আনসাবুল আশরাফ-১/১৯)।

ইবন ইসহাক বলেন, ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরা যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, বনু মাখযুমের একদল লোক তার ভাই হিশাম ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরা যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, বনু মাখযুমের একদল লোক তার ভাই হিশাম ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরার নিকট যায় এবং ওয়ালীদকে হত্যার জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবদার জানায়। তাদের যুক্তি ছিল, তাকে হত্যা করলে অন্যদের ব্যাপারে তারা নিরাপদ হতে পারবে। হিশাম তাদের সেই আবদার অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি আরও হুমকি দেন, কেউ তার ভাই ওয়ালীদকে হত্যা করলে তিনি তাদের সর্বাধিক মর্যাদাবান এক ব্যক্তিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেবেন। এই চরম হুমকির মুখে তারা ওয়ালীদকে হত্যার আশা ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। (সীরাতু ইবন হিশাম-১/৩২১)।

বদর যুদ্ধের পূর্বে হযরত রাসূলে কারীম সা: আইয়াশ ইবন রাবীয়া, সালামা ইবন হিশাম, হিশাম ইবন আস প্রমূখের মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দুআ করতেন। বদর যুদ্ধের পর ওয়ালীদ বন্দী হয়ে তাদের সাথে যুক্ত হলে রাসুল সা: তার নাম ধরেও দুআ করতে লাগলেন। বাযযার আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূল সা: নামাযে সালাম ফিরানোর পর মাথা উঁচু করলেন এবং কিবলামূখী অবস্থায় বললেন: হে আল্লাহ, তুমি সালামা ইবন হিশাম, আইয়াশ ইবন রাবীয়া, ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদ এবং ঐ সকল দূর্বল মুসলমানকে মুক্তি দাও যারা কোন কৌশল অবলম্বনে অক্ষম এবং যাদের কোন পন্থা জানা নেই। অন্য একটি বর্ণনা মতে রাসুল সা: সালাতুল ফজরে এই দুআ করতেন। (হায়াতুস সাহাবা-৩/৩৪৮)।

বেশ কিছুদিন তার বন্দী দশায় কাটে। একদিন সুযোগ বুঝে তিনি মদীনায় পালিয়ে আসেন। হযরত রাসূলে কারীম সা: তার কাছে আইয়াশ ও ‍সালামার অবস্থা জিজ্ঞেস করেন। ওয়ালীদ বলেন, তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। একটি বেড়ী দুজনের পায়ে লাগানো হয়েছে। হযরত রাসূলে কারীম সা: তাকে বললেন: তুমি আবার মক্কায় যাও। সেখানকার এক কর্মকার ইসলাম গ্রহণ করেছে। প্রথমে তার ওখানে গিয়ে ওঠো। তারপর গোপনে আইয়াশ ও সালামার সাথে দেখা করে বল, তুমি আমার প্রতিনিধি, আমার সাথে চলো।

রাসূল সা: এর নির্দেশ মত ওয়ালীদ মক্কায় পৌঁছলেন এবং আইয়াশ ও সালামার সাথে দেখা করে রাসূল সা: এর বাণী তাদের কাছে পৌঁছে দিলেন। পরিকল্পনা মত তারা মক্কা থেকে পালিয়ে মদীনার দিকে যাত্রা করলেন। খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ তাদের পিছু ধাওয়া করেন; কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হয়ে মক্কায় ফিরে যান।

এদিকে ওয়ালীদ তার সঙ্গীদ্বয় সহ একটানা ভ্রমণ ও অজানা শংকায় ক্লান্তিতে অসাড় হয়ে পড়ছিলেন। এই সময় কবিতার একটি শ্লোক বারবার তার মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল: ‘ওহে আমার চরণ যুগল! আমাকে আমার কাওমের নিকট পৌঁছে দাও। আজকের এ দিনটির পর আর কখনও তুমি অলস দেখতে পাবে না।’

আজবাস নামক স্থানে তিনি পড়ে গেলে একটি অঙ্গুলি মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তিনি আহত অঙ্গুলিটিকে উদ্দেশ্য করে একটি শ্লোক আওড়াতে থাকেন: ‘ওহে, তুমি একটি অঙ্গুলি ছাড়া আর কিছু নও, যা থেকে রক্ত ঝরেছে।

যা কিছু তুমি লাভ করেছ, তা সবই আল্লাহর রাস্তায়। (আনসাবুল আশরাফ-১/২০৯-১০)

হুদাইবিয়ার ‍চুক্তি অনুযায়ী হযরত রাসূলে কারীম সা: হিজরী সপ্তম সনে বিগত বছরের কাজা উমরা আদায় করতে মক্কায় যান। ওয়ালীদ এ সময় রাসূল সা: এর সফরসঙ্গী ছিলেন। তখনও তার ভাই খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ ইসলাম গ্রহণ করেননি। এ সম্পর্কে হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ বলেন: হুদাইবিয়ার সন্ধির পর আমি যখন দারুণ অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছি, তখন হিজরী ৭ম সনে যুল কাদাহ মাসে হযরত রাসূলে কারীম সা: ‘উমরাতুল কাযা’ আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশ করলেন। তাদের কারও সামনে পড়তে হয় এই আশংকায় আমি আত্মগোপন করে থাকলাম। তাদের কারও সাথে আমার দেখা হলো না। আমার ভাই ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ এই সফরে রাসূল সা: এর সঙ্গী ছিলেন। তিনি আমাকে খুঁজে না পেয়ে আমাকে একটি চিঠি লিখেন। চিঠির বিষয়বস্তু নিম্নরূপ: ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। অত:পর ইসলামের ব্যাপারে আপনার এমন বিরূপ মনোভাব পোষণের কারণে আপনাকে আমার খুব আশ্চর্য মানুষ বলে মনে হয়েছে। অথচ আপনি একজন বড় বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার অধিকারী ব্যক্তি। আপনার মত কোন ব্যক্তি কি ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে পারে? রাসূল সা: আপনার সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন: খালিদ কোথায়? আমি বলেছি: শিগগিরই আল্লাহ তাকে নিয়ে আসবেন। তিনি তখন বললেন: তার মত ব্যক্তি কি ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে পারে? তার বুদ্ধি ও চেষ্টা যদি মুসলমানদের পক্ষে হতো, তাহলে তা তার কল্যাণ বয়ে আনতো এবং আমি তাকে অন্যদের চেয়ে বেশী মর্যাদা দিতাম। ভাই, যে ভালো কাজ আপনার হাতছাড়া হয়ে গেছে, এখনই আপনি এসে তাতে শরিক হউন।” মূলত: এই চিঠি পেয়ে হযরত খালিদ ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং অল্পদিনের মধ্যে মদীনার দিকে যাত্রা করেন। (হায়াতুস সাহাবা-১/১৬০), উসুদুল গাবা-৫/৯৩)।

হযরত ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদের মৃত্যুর সময়কাল সম্পর্কে দুটি বর্ণনা পাওয়া যায়। একটি বর্ণনা মতে তিনি আইয়াশ ও সালামাকে মুক্ত করে মদীনায় ফিরে অল্প কিছুদিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। এই বর্ণনা মতে, মদীনায় পৌঁছে তিনি সরাসরি রাসূল সা: এর নিকট হাজির হয়ে বলেন: ইয়া রাসূল সা: আমি মৃত, আপনার পরিত্যক্ত একটু কাপড় দিয়ে আমাকে কাফন দিন। অত:পর তিনি মারা যান এবং রাসূল সা: স্বীয় কাপড় দিয়ে তাকে কাফন দেন। (আল ইসাবা-৩/৬৪০, আনসাবুল আশরাফ-১/২১০-২১১)।

কিন্তু উপরোক্ত বর্ণনা সঠিক বলে মনে হয় না। কারণ, একাধিক বর্ণনায় জানা যায়, তিনি হিজরী ৭ম সনে রাসূল সা: এর সাথে ‘উমরাতুল কাযা’ আদায়ে শরিক ছিলেন। আল্লামা ইবন আবদিলবার লিখেছেন: আর এ কথা সঠিক যে, তিনি ‘উমরাতুল কাযায়’ রাসূল সা: এর সাথে অংশ গ্রহণ করেন। আর উমরাতুল কাযা হিজরী ৭ম সনের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে প্রথম বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায় ‘উমরাতুল কাযা’র দুই বছর পূর্বে হিজরী ৫ম সনে তার ওফাত হয়।

তাছাড়া ওয়াকিদী বলেছেন: কেউ কেউ মনে করেন, ওয়ালীদ মক্কা থেকে পালিয়ে আবু বাসীরের দলের সাথে যোগ দেন। উল্লেখ্য যে, এই আবু বাসীর হুদাইবিয়ার সন্ধির পর মদীনায় আসেন। হযরত রাসূলে কারীম সা: সন্ধির শর্ত অনুযায়ী ‍তাকে মক্কায় ফেরত পাঠান। কিন্তু পথিমধ্যে তার এক সঙ্গীকে হত্যা করে আবার মদীনায় রাসূল সা: এর নিকট ফিরে আসেন। তিনি আবু বাসীরকে মদীনা ত্যাগের নির্দেশ দেন। আবু বাসীর মদীনা ত্যাগ করে লোহিত সাগরের উপকূল এলাকায় চলে যান। এরপর মক্কার আরও কিছু নও মুসলিম যুবক তার সাথে যোগ দেন। তারা কুরাইশদের বাণিজ্য কাফিলা আক্রমণ করে লুটপাট করতেন। ফলে কুরাইশদের ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। অত:পর কুরাইশরা অনন্যোপায় হয়ে এই দলটিকে মদীনায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য রাসূল ‍সা:কে অনুরোধ জানায়। রাসূল সা: তাদেরকে মদীনায় ডেকে পাঠান। (আনসাবুল আশরাফ-১/২১০-২১১)।

তবে বালাযুরী এই বর্ণনাকে সঠিক বলে মনে করেননি। যাই হউক হিজরী অষ্টম সনের পরে যে তিনি জীবিত ছিলেন এমন কোন প্রমাণ সীরাত গ্রন্থসমূহে পাওয়া যায় না।

উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মু সালামা ছিলেন ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদের চাচাতো বোন। ওয়ালীদের মৃত্যুর পর তিনি রাসূল সা:কে বললেন: ইয়া রাসূল সা:। সে বিদেশ বিভূয়ে মারা গেছে। তার জন্য শোক প্রকাশের কেউ এখানে নেই। রাসূল সা: তাকে শোক প্রকাশের অনুমতি দান করেন। উম্মু সালামা রাসূল সা: এর অনুমতি পেয়ে খাবার তৈরী করেন এবং পাড়ার অন্য মহিলাদের ডেকে ‍আনেন। হযরত উম্মু সালামা (রা) একটি মরসিয়া বা শোকগাথা আবৃত্তি করতে শুরু করেন। তার দুটি শ্লোক নিম্নরূপ:

‘ওহে চোখ, তুমি ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন মুগীরার জন্য কাঁদ। আমাদের মধ্যে সে ছিল খরার সময় বৃষ্টি ও রহমত স্বরূপ। নামকাম ও গৌরবে সে ছিল তার পিতার মত। সে তার গোত্রের জন্য একাই যথেষ্ট।’

হযরত রাসূলে কারীম সা: মরসিয়াটি শোনার সাথে সাথে বলে উঠলেন: উম্মু সালামা, এ কথা না বলে বরং বল: মৃত্যু যন্ত্রনা সত্যই আসবে। আর এ থেকেই তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছো। (সূরা কাফ-১৯)। (আনসাবুল আশরাফ-১/২১০-২১১) (আল ইসাবা-৩/৬৪০)।

ইবন হিশাম বলেন: মুজাহিদের সূত্রে আমার নিকট পৌঁছেছে। তিনি বলেছেন সূরা ফাতহ এর নিম্নের আয়াতটি ওয়ালীদ ইবন ওয়ালীদ, সালামা ইবন হিশাম, আইয়াশ ইবন রাবীয়া, আবু জান্দাল ইবন সুহাইল ও তাদের মত আর যারা ছিলেন তাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে: ‘তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হতো, যদি ‍না এমন কিছু মুমিন নর ও নারী থাকতো, যাদেরকে তোমরা জাননা। তোমরা অজ্ঞাতসারে তাদেরকে পদদলিত করতে। ফলে, তাদের কারণে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে।’ (সূরা আল ফাতহ-২৫) (সীরাতু ইবন হিশাম-২/৩২১)।

আমর ইবন আবাসা (রা)

সালামা ইবন হিশাম (রা)

Leave a Reply