ধারাবাহিকভাবে পুনরায় আরেকটি হত্যাকান্ড!!
এটি কোন অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা নয়। একে একে ঘটানো এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আসছে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী যালিম শাসকগোষ্ঠী। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানে ব্যর্থ এই শাসকেরা লাগাতারভাবে প্রতারণার খেলা করে যাচ্ছে এই উম্মাহ’র সাথে। একের পর এক গার্মেন্টসে আগুন, ধ্বসের পর আশার বাণীর মূলা ঝুলানো হয় আমাদের সামনে আর আমরা তা ধরে ঝুলতে থাকি, ন্যায়ের আশায়।
অথচ বাস্তবতা হল, না তারা আমাদের নিরাপত্তা বা অধিকার প্রদান করছে; উপরন্তু দুর্নীতির ছোবলে চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হত্যাকান্ড।
তাজরীন ফ্যাশন, চট্টগ্রামে গার্ডার ধ্বসের দ্বারা কৃত হত্যায় রক্তের গন্ধ বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার পূর্বেই দূর্নীতির ছোবলে পূরনায় আক্রান্ত এই উম্মাহ।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি একজন অমুসলিম নাগরিকের ক্ষতি সাধন করলো, সে যেন আমার ক্ষতি সাধন করলো।”
আর এখন স্বজন হারানো পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার টাকা!!!!! যেখানে সময় মত তাদের বেতনটাই দেওয়া হত না। এসব কি লোক দেখানো মেকি নাটক নয়???
আর কতকাল চলবে এসব নাটক?? যুলুমের পর নাটক সাজাবে, অনর্থক কথা বলে দোষ থেকে মুক্তির পাঁয়তারা করে যাবে এই যালিমেরা চিরকাল।
আর এইসকল যুলুমের বিচারের দাবিতে আওয়াজ না তোলার পরিপ্রেক্ষিতেই ঘটবে এই ধরণের হত্যাকান্ড।
“আর যদি সে জনপথের অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করতো, তবে আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের সমস্ত নেয়ামতকে উন্মুক্ত করে দিতাম…” [সূরা আল-আরাফ : ৯৬]
স্মরণ করুন সামূদ জাতির কথা যারা যুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ না উঠানোর কারণেই অর্থ্যাৎ সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ থেকে বিরত থাকার কারণেই ধংস হয়ে গিয়েছিল। অথচ তাদের মধ্যে অন্যায় করেছিল মাত্র ৯ জন, আর বাকিরা তা দেখেও বাধা প্রদান করেনি।
নবী সাঃ বলেছেন,
“তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ দেবে ও অন্যায় কাজে নিষেধ করবে এবং লোকদের কল্যাণময় কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। অন্যথায় আল্লাহ্ কোনো আযাবের মাধ্যমে তোমাদের ধ্বংস করে দেবেন কিংবা তোমাদের মধ্য থেকে খারাপ লোকদেরকে তোমাদের উপর শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দেবেন। এসময় তোমাদের মধ্যকার ভালো লোকেরা আল্লাহ্র কাছে দোয়া করবে, কিন্তু তার জবাব দেয়া হবে না।” (মুসনাদে আহমাদ)
অবশ্যই, এই যুলুমের সমাধান নয় বিএনপি বা অন্য কেউ। বি.এন.পি জোটের আমলেও চট্টগ্রামে এইরকম হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল কে.টি.এস টেক্সটাইলের কারখানায়, যার বিচার আদৌ পায়নি এই উম্মাহ। আর এই শাসনব্যবস্থায় বিচারের আশাও অনর্থক বৈ কি।
সুতরাং, আওয়ামী-বি.এন.পির বা এই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিকট ধার ধরার সময় শেষ!!
আজ মুক্তির জন্যই এইসকল হত্যাকারীদের শাস্তি সুনিশিতকরণে দাবী উঠান খিলাফতের; যা একমাত্র সমাধানের পথ। খিলাফত রাষ্ট্রই পারে দেশের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে এবং আপনাদের আজকের করুণ পরিণতির জন্য দায়ী আওয়ামী-বিএনপির দূষিত রাজনীতির বিপরীতে দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আসীন করাতে।
মুক্তির একপথ, খিলাফত, খিলাফত।