ইসলামের জন্য আন্দোলনকারী ভাইদের প্রতি,
সৎপথের পথিকদের প্রতি আল্লাহ’র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
সন্দেহাতীতভাবে আজকে মুসলিম উম্মাহ’র বজ্রকন্ঠ কাফির-যালিমসহ ইসলামের বিরুদ্ধবাদীদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে দিয়েছে। তাকবীর ধ্বনিতে বার বার কেঁপে উঠছে তাদের মসনদসমূহ।
দেরিতে হলেও এই আন্দোলনে তারা ভীত, প্রকম্পিত। মুসলিম উম্মাহ’র আল্লাহ (سبحانه و تعالى) ও তাঁর রাসূলের (صلى الله عليه و سلم) প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের দুশমনদের প্রতি ঘৃণার প্রবলতায় আতঙ্কে আছে তারা।
কিন্তু, আমাদের যে বিষয়টি বুঝতে হবে তা হল, ইসলাম এবং উম্মাহ’র স্বার্থে জ্বলে উঠা এই আগুন যেন কোনভাবেই যালিম সাম্রাজ্যের ফায়দার উৎস হয়ে না দাঁড়ায়।
আমাদের বুঝতে হবে দীর্ঘ সময় পর পাওয়া এই আন্দোলনের সূচনা আমাদের নিকট আল্লাহ (سبحانه و تعالى) কর্তৃক রহমতস্বরূপ; যা কোনভাবেই যাতে ইসলামের শত্রুদের পক্ষে চলে না যায়।
আপনারা ইতিমধ্যেই দেখেছেন, সরকার লং-মার্চের অনুমতি দেওয়ার নাটক দেখিয়ে আবার লং-মার্চে উপস্থিতদের বাধা প্রদানে হরতালের আয়োজন করে এবং তাঁর গুন্ডা বাহিনী দ্বারা তারা কিভাবে দ্বি-মুখি ব্যবহার দেখিয়েছে। এটা সুস্পষ্টভাবে এই উম্মাহ’র আন্দোলনকে ছিনতাইয়ের ঘৃণ্য চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না।
সুতরাং, এই সকল যালিমের কাছে ১৩/১৪ দফা দাবি জানানো অযাচিত নয় কি?
প্রাণপ্রিয় রাসূল (صلى الله عليه و سلم) -এর অবমাননার বিচার এই উম্মাহ‘র অধিকার। কিন্তু যারা এই উম্মাহ’র দৈনিক বিষয়সমূহ নিয়েই এতটুকু চিন্তিত থাকেনা, তাদের কাছ থেকে এই ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক।
এইরকম অপমান এই প্রথম নয়; এর পূর্বেও রাসূল (صلى الله عليه و سلم) -কে অপমান করা হয়েছে এবং এই গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা দ্বারা এর শাসকরা এই ধরণের জঘন্য অন্যায়কারীদের বাক-স্বাধীনতার নামে প্রশ্রয় দিয়ে যায়।
এই কুফর শাসনব্যাবস্থার মাঝে ন্যায়-বিচার দাবি করা, ময়লা কাঁদার মাঝে পরিষ্কার পানযোগ্য পানি অনুসন্ধানের মতই বোকামী বৈ আর কিছুই নয়।
হাসিনা-খালেদা বা অন্যান্য পুতুল শাসক দ্বারা গণতান্ত্রিক এই শাসনব্যাবস্থা ক্রমাগতভাবে আমাদের ন্যায়-বিচারের নামে কাঁচকলা দেখিয়ে যাচ্ছে এবং জেনেশুনে এই কুফরের মাঝে প্রবেশ অবশ্যই ইসলামে সম্মত নয়।
সুতরাং, যালিমের কাছে যুলুমের বিচার না চেয়ে; আমেরিকা-ভারত কর্তৃক এই আন্দোলন ছিনতাইয়ের পূর্বেই দালাল শাসক ও এসব দালাল তৈরির কারখানা গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা উৎখাত করুন।
মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত জেগে উঠা খিলাফতের দাবিই মুসলিম উম্মাহ’র একমাত্র ও যৌক্তিক দাবি।
সুতরাং, ১৩/১৪টি দাবি নয়, ইসলামী রাস্ট্রব্যাবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটিমাত্র দাবিই আজ মুসলিম উম্মাহ’র প্রাণের দাবি।
একটাই দাবি,
একটাই যুদ্ধ,
একটাই লক্ষ্য,
খিলাফাহ রাস্ট্রব্যাবস্থা।
“যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।” (আল বাকারাঃ ২৫৭)
প্রথম প্রকাশঃ ৬ই এপ্রিল ২০১৩