আইন জালুতের যুদ্ধ (৬৫৮ হিজরি) ছিল তাতারদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের অন্যতম সেরা বিজয়গুলোর মধ্যে একটি । ৬৫৬ হিজরিতে তাতাররা ইসলামি খিলাফতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করে, যার ফলে তারা খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ দখল করে নেয়, খলিফা মুসতা’সিম বিল্লাহকে হত্যা করে, মুসলিমদের তিন চতুর্থাংশ ভূমি দখল করে নেয়। তারা মুসলিমদের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ মিশরের আমিরকে দূত মারফত চিঠি প্রেরণ করে বলে “আমরা খিলাফতের এই ভূমিকে ধংস করে দিয়েছি, শিশুদের এতিম বানিয়েছি, মুসলিমদের নির্যাতন করেছি আর হত্যা করেছি, সম্মানিতদের অমর্যাদা করেছি আর বন্দি করে রেখেছি”। তুমি কি মনে কর তোমরা আমাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে? একটু পর তুমিও জানতে পারবে তোমাদের উপর কী আসছে…। তাতারদের এমন হুমকিতে মুসলিমদের দুর্বলতা ও নৈতিক স্খলনের সময়টাতে তাদের প্রতিরোধের মানসিকতাই হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করা হয়েছিল। পরাজিত মানসিকতা তাদের অন্তরে প্রচণ্ডভাবে কাজ করছিল। সবাই প্রায় আশাই হারিয়ে ফেলছিল। ঠিক সে সময় সাইফুদ্দিন কুতুজ সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তাদের জবাব দেন। তিনি তাতার দূতকে হত্যা করে তাঁর রাজধানীর কেন্দ্রে ঝুলিয়ে রাখেন, যার ফলে একদিকে যেমন মুসলিমদের মধ্যকার পরাজিত মানসিকতা দূর হয়ে প্রতিশোধের মানসিকতা জেগে উঠে অন্যদিকে এর মাধ্যমে তিনি তাতারদেরসহ গোয়েন্দা ও দালালদের মানসিকতায় কুটারাঘাত করেন।
সাইফুদ্দিন কুতুজের এমন সাহসিকতাপূর্ণ কাজে মুসলিমদের ঈমানী স্পৃহা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়, শত্রুরা শংকিত হয়ে পড়ে এবং বুঝতে পারে, তারা একজন সাহসী নেতার মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। কুতুজ অনিবার্য এই যুদ্ধের জন্য মুসলিমদের প্রস্তুত করতে থাকেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিমরা শত্রুর মোকাবেলায় ঈমানের সাথে ঐক্যবদ্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রসস্ত্র জোগাড় করতে থাকেন। তিনি অন্যান্য মুসলিম শাসক ও আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান এবং ইসলামের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মুসলিমদের হারানো ভূমিগুলো পুনরূদ্ধারে এগিয়ে যান। অবশেষে ২৫শে রমজান ৬৫৮ হিজরি সনে আকাঙ্ক্ষিত আইন জালুতের যুদ্ধ শুরু হয়। শুরুতে সাইফুদ্দিন কুতজ পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করে তাঁর শিরস্ত্রাণ খুলে ফেলে মুসলিম সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন “ওয়া ইসলামাহ, ওয়া ইসলামাহ” তিনি শত্রুদের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরকে দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে আহ্বান করেন। সাইফুদ্দিন কুতজের এমন বক্তব্য ও তাঁর আলোকিত চেহারা দেখে দুর্বল হয়ে পড়া মুসলিম সেনা অফিসারগণ প্রচণ্ডভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং শত্রুর মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। কুতুজের এমন সাহসিকতায় মুসলিম সেনাবাহিনীর ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তাঁদের নেতৃত্ব সুদৃঢ় হতে থাকে। যার ফলে মুসলিমদের আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে তাতার সেনাবাহিনী ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পরাজয় বরণ করে এবং যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালাতে থাকে।
পুনরায় ইসলাম ও মুসলিমরা বিজয় লাভ করেন। ফলে, তাতাররা পরাজিত হয়, তাদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে আসে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে মুসলিমরা একে একে (সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন ইত্যাদি) হারানো ভূমিগুলো পুনরুদ্ধার করে। আমাদের এখনকার অবস্থার মতো শত্রুবেষ্টিত দুর্বলতার সময়েও মুসলিমরা শুধুমাত্র আন্তরিক নেতৃত্বের কারণে জয়লাভ করেন।
কিভাবে বিজয়লাভ হবে?
ইসলামের ইতিহাসে রমজান মাস ছিল রোজা, ইবাদত ও জিহাদের জন্য বিখ্যাত। রাসুল (সা) এবং পরবর্তী মুসলিমদের সময়ও অনুরূপ ছিল।
বর্তমান সময়েও রমজান মাসে মুসলিমরা যুদ্ধে জড়িয়ে আছে। ১৯৪৮ সালের এই মাসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ৯ই রমজান মুসলিমরা ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে (১৯৬২-১৯৭০), মিশরীয় মুসলিমরা সুয়েজখাল পার হয়ে ১০ই রমজান ১৯৭৩ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ১৯৭৫-১৯৯০ সালের ১৭ই রমজান লেবানন যুদ্ধ শুরু হয়।। সম্প্রতি আফগান, ইরাক যুদ্ধেও যেখানে মুসলিমরা বারবার পরাজিত। আর বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজার মর্মান্তিক নজিরতো রয়েছেই।
কিন্তু খিলাফতের সময়কালের সাথে এইসব যুদ্ধ বিবেচনা করলে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যায়। মুসলিমদের বারবার পরাজয় বরণের মুল কারণ হল ঐক্যবদ্ধতা ও খিলাফত রাষ্ট্রের একক নেতৃত্বের অনুপস্থিতি। সালাউদ্দিন আইয়ুবী এটি বুঝতে পেরিছিলেন, তাই তিনি ঐতিহাসিক জেরুজালেম বিজয়ের পূর্বে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
ইমাম মুসলিম হতে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেন-
“ইমাম হচ্ছে ঢাল স্বরূপ, যার পিছনে থেকে জনগণ যুদ্ধ করে ও নিরাপত্তা লাভ করে”
ইতিহাস বলে খিলাফত ছাড়া মুসলিমরা সবসময় পরাজিত। মুসলিমদের এইসব পরাজয় মূল কারণ খিলাফত রাষ্ট্রের নিরাপত্তার অভাব। আমরা তাকালেই দেখতে পাই খিলাফতের সাময়িক দুর্বলতার সময় ক্রুসেডাররা আল কুদস দখল করে নেয়। কিন্তু অল্প সময়ে মধ্যে মুসলিমরা দুর্বলতা কাঠিয়ে উঠে এবং তাঁদের হারানো ভূমি আল কুদস পুনর্দখল করার চেষ্ঠা করা শুরু করে এবং তাতে সফল হয়। সর্বোপরি এটাই ছিল রাষ্ট্রের অবস্থা। খিলাফত রাষ্ট্র সালাউদ্দিন আইয়ুবীর মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধে করেন এবং মুসলিমদের ভুমি পুনরুদ্ধার করেন। সেই খিলাফতের রাষ্ট্রীয় কাঠামো এখন কোথায় যা মুসলিমদের ভূমিগুলো পুনরুদ্ধার করবে? ফিলিস্তিনকে মুক্ত করবে? চেচনিয়া অথবা কাশ্মীরকে মুক্ত করবে?
কোথায় সেই খিলাফত যা মধ্যপ্রাচ্যকে মুক্ত করবে? জোট বাহিনী থেকে মধ্য এশিয়াকে মুক্ত করবে? বর্তমান অবৈধ মুসলিম শাসকরা শুধু মুসলিমদের পরাজয়কে বর্ধিত করবে, তারা শুধু তাদের পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার্থে যুদ্ধে জড়াবে। উপরন্তু খিলাফত ছাড়া মুসলিমরা কখনো তাদের ভুমি মুক্ত করতে পারবেনা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
হে মুমিনগণ! তোমাদের কি হল যে, যখন তোমাদের বলা হয়, বের হও আল্লাহর পথে, তখন তোমরা মাটিতে লেগে থাক (অলসভাবে বসে থাক)। তাহলে কি তোমরা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনের উপর পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাসতো আখিরাতের তুলনায় কিছুই নয়, অতি সামান্য। (আত-তাওবা: ৩৮)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসুলদেরকে ও মুমিনদের সাহায্য করব পার্থিব জীবনে এবং সেদিন সাক্ষীগণ দণ্ডায়মান হবে। (গাফির: ৫১)
আবার রমজান মাসকে বিজয়ের মাস করি
আলহামদুলিল্লাহ, মুসলিমদের কাছে সোভাগ্যশালী রমজান মাস আবারও ফিরে এসেছে। এই মাসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা লাওহে মাহফুজ থেকে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। এই মাসে ইবাদতকারীদের জন্য আল্লাহ লাইলাতুল কদর নামে এমন একটি রজনী রেখেছেন যা হাজার মাস থেকে উত্তম। রমজান মাসে আল্লাহ মুসলিমদের রোজা রাখতে আদেশ করেছেন, শয়তানকে শৃঙ্খলিত করেছেন, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে রেখেছেন এবং জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দিয়েছেন, সর্বোপরি মুসলিমদের আল্লাহর নৈকট্যে যাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ট।
পূর্ব প্রজন্মের মুসলিমগণ, আল্লাহর প্রদত্ত কুরআন দিয়ে শাসন করেছেন, রমজান দ্বারা সৌভাগ্যশালী হয়েছেন, এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছেন। রমজান মাসেই রাসূল (সা) এর নেতৃত্বে মুসলিমরা সংখ্যায় কম ও দুর্বল অস্ত্রশস্ত্র থাকা সত্ত্বে আরবদের নেতৃত্বশীল গোত্র কোরাইশদের বিরুদ্ধে বদরের যুদ্ধে জয়লাভ করেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,
আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে বদরে সাহায্য করেছিলেন এবং তোমরা দুর্বল ছিলে, অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেন তোমরা কৃতজ্ঞ হও। (আলে ইমরান: ১২৩)
এছাড়া রমজান মাসে মক্কা বিজয় সূচিত হয়, কুরাইশরা ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। তাদের জুলুমের শাসনের অবসান ঘটে এবং পুরো আরব ভূমি ইসলামি রাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। মক্কা বিজয়ের পর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা নাযিল করেন-
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, তখন তুমি দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে মানুষকে প্রবেশ করতে দেখবে। (আন নাসর: ১-২)
রাসুল (সা) এবং খোলাফায়ে রাশেদার পরও শতশত বছরের খিলাফত রাষ্ট্রের ইতিহাসে রমজান মাসেই ভয়ানক সব শত্রুদের পরাজিত করে মুসলিমরা বিজয় অর্জন করেছে। মুসলিমরা সফলভাবে আস-শাম থেকে ক্রুসেডারদের বিতাড়িত করেছে যদিও তারা ক্ষুদ্র একটি ভূমি শত বছর দখল করে রাখতে পেরেছিল। মুসলিমদের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও বর্বর তাতারদের বিরুদ্ধে আইন জালুতের যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয় লাভ করে।
সুতরাং, যখনই মুসলিমরা ইসলাম দ্বারা শাসিত হয়েছেন, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা দ্বারা তাদের বৈষয়িক বিষয়াদি নির্ধারিত হয়েছে শুধুমাত্র তখনই মুসলিমরা রমজান মাসে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছে। অথচ, এই রমজান মাসেই ইসলামি রাষ্ট্র খিলাফত ছাড়া এই উম্মাহর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শত্রুদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়ে রয়েছে।
এই রমজানে আমরা যদি মুসলিমদের বাস্তবতা দেখি, সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো মুসলিম ভূমি ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনের উপর জোর করে দখলদারিত্ব স্থাপন করেছে। এই রমজানে মুসলিম সেনাবাহিনীগুলো মুসলিমদের উদ্ধারে ইতস্তত বোধ করছে অন্যদিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এই রমজানে পশ্চিমাদের লিবারেল দষিত চিন্তাগুলো শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবেশ, মিডিয়া ও নানা উপায়ে মুসলিমরা সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আকীদা ও দ্বীনের উপর আক্রমণ করছে। এই রমজানেই মুসলিমদের বিশাল সম্পদ সাম্রাজ্যবাদীদের লুণ্ঠনের ফলে উম্মাহর চরম কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে।
বিশাল ভূমি, খনিজ সম্পদ, জনসংখ্যা, সেনাবাহিনী, সর্বোত্তম সম্পদ একমাত্র সঠিক দীন ইসলাম থাকা সত্ত্বেও উম্মাহ কাফিরদের কাছে অপদস্থ। ইসলামি রাষ্ট্র খিলাফত, রাজনীতি ও শাসন, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ছাড়া এমন হওয়াই অনিবার্য। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী রাজনীতি ও শাসনকে সাম্রজ্যবাদীদের ইচ্ছায় যা আদেশ করে ও যা তারা ঘৃণা করে তাই বাস্তবায়ন করছে। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, মুসলিমদের বিজয় অর্জন করতে রাজনীতি করা হচ্ছেনা। উপরন্তু সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের সন্তুষ্ট রাখতে বর্তমান শাসক ও তাদের পরিবর্তে যারা আসতে চাইছে তারা সস্তা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছে।
হে মুসলিম ভাইয়েরা, এই রমজানে শুধু ইবাদত ও রোজা রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টির চেষ্টা করে আপনি সন্তুষ্ট থাকলে হবে না কারণ কাফিরদের যড়যন্ত্রের কারণে উম্মাহ চরমভাবে নির্যাতিত। বরং খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে, যাতে আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়িত হয়, এবং সকল দীনের উপর ইসলাম বিজয় লাভ করে। যাতে রমজান আবারও বিজয়ের পর বিজয়ের সাক্ষী হয়ে থাকে। বর্তমান শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্টায় কাজ করা এটি শুধুমাত্র জীবন মৃত্যুর বিষয় নয়। এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি ফরজ দায়িত্ব। যদি মুসলিমরা এই দায়িত্ব পালনে বিরত থাকে তবে শাসকদের পাপসমূহ তাদের উপরও আরোপিত হবে। দুনিয়ায় তাদের অবস্থা আরো খারাপ হবে এবং আখিরাতে শাস্তির সম্মুখীন হবে। রাসূল (সা) বলেছেন,
আল্লাহ কিছু ব্যাক্তির পাপের কারণে সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেন না। যতক্ষন পর্যন্ত তারা ঐ ব্যক্তিগুলোর মুনকার দেখে এবং তা প্রতিরোধ করে, যদি তারা প্রতিরোধ না কর, তবে আল্লাহ ঐ পাপী ব্যক্তিগুলোসহ সবাইকে শাস্তি প্রদান করেন। (আহমেদ)
সুতরাং চলুন রমজান মাসের সুফল ভোগ করি। আল্লাহর দিকে ফিরে আসি। এই দূর্নীতিগ্রস্থ শাসকদের অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কারণ একমাত্র খিলাফতই ইসলামের কর্তৃত্ব স্থাপন করবে, মুসলিমদের নিরাপত্তা দিবে, তাদের দ্বীনের নিরাপত্তা দিবে এবং শত্রুর অন্তরে ভীতির সঞ্চার করবে। আমরা একমাত্র আল্লাহর ব্যপারে সত্যনিষ্ঠ হলে তিনি আমেদেরকে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
আর তোমরা নিরাশ হয়োনা ও বিষন্ন হয়োনা এবং যদি তোমরা বিশ্বাসী হও তাহলে তোমরাই বিজয়ী হবে। (সুরা আলে ইমরান: ১৩৯)