পররাষ্ট্র বিভাগ রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয় অর্থাৎ, খিলাফত রাষ্ট্রের সাথে অন্যান্য রাষ্ট্র সম্পর্কিত সকল বিষয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকে – এই বিষয় ও সম্পর্ক যাই হোক না কেন। এ বিষয়সমূহ রাজনৈতিক হতে পারে যেখানে শান্তি চুক্তি, যুদ্ধবিরতি, সমঝোতা চুক্তি, দূত নিয়োগ, বার্তাবাহক ও প্রতিনিধি প্রেরণ এবং দূতাবাস ও বাণিজ্যিক দূতের আবাস স্থাপন অন্তর্ভুক্ত। আবার অন্যান্য সম্পর্কও হতে পারে, যেমন: অর্থনৈতিক, কৃষি, বাণিজ্য, ডাকযোগাযোগ, তারযুক্ত বা তারবিহীন যোগাযোগ ইত্যাদি। খিলাফত রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগ এসব কার্যই সম্পাদন করে থাকে।
রাসূলুল্লাহ্ (সা) অন্যান্য বৈদেশিক রাষ্ট্র ও জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তিনি উসমান বিন আফফান (রা) কে কুরাইশদের সাথে সমঝোতার জন্য পাঠিয়েছিলেন; ঠিক একইভাবে তিনি কুরাইশ প্রতিনিধিদের সাথে সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি বিভিন্ন রাজা-বাদশাহ্’র কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন এবং রাজা-বাদশাহ্ ও নেতাদের প্রতিনিধি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন ধরনের চুক্তি ও শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেছেন। পরবর্তীতে, তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে খোলাফায়ে রাশেদীনগণও (রা) অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তাঁরা হয় নিজেরা এ সকল কাজ সম্পাদন করতেন কিংবা তাঁরা তাঁদের পক্ষ থেকে এ সকল কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নিয়োগ করতেন।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা, বিস্তৃতি ও বৈচিত্র্যতার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, খলীফা তার পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র বিষয়ক একটি আলাদা বিভাগ গঠন করবেন; যেখানে খলীফা হয় রাষ্ট্রের অন্যান্য শাসন বিষয়ক ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের মত প্রত্যক্ষভাবে শারী’আহ্ বিধিবিধান অনুযায়ী এ সব বিষয় তদারকী করবেন কিংবা, তার নির্বাহী সহকারীর মাধ্যমে এ সকল বিষয়ের তদারকী করবেন।