– সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসিন খান বলেছেন ‘স্যুট এ্যাট সাইট’ অর্থাৎ দেখা মাত্র গুলি।
– এর আগে বিজিবি প্রধানের একই বক্তব্য ছিল
– মন্ত্রীসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ‘নাশকতাকারীদের’ ধরতে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
– বিরোধী দলকে নিঃশেষ করতে নির্দেশ চান সাংসদ শামীম উসমান
– রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন সরকার সাংবিধানিক শাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
– এ ছাড়া প্রতিদিন মন্ত্রী সাংসদরা এক প্রকার মুখস্ত বলে বেড়াচ্ছেন ‘সর্বোচ্চ কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে’
– রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যক্তিবর্গের হুমকি ধমকি ও তা কার্যকরে সরকারের নীতি নির্ধারণী কমিটির সভায় তার অনুমোদন।
একদিকে আওয়ামি সরকার দেশের জনগণের সম্পদ ব্যবহার করছে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে বি এন পি ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সায় তার গুণ্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে।
এই দু দলের যাঁতাকলে একদিকে যেমন দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামি সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিজিবি’র গুলিতে হতাহত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে বিরোধী দলীয় গুন্ডাবাহিনীর কাছে চোরাগুপ্তা হামলার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ, যার করুণ সাক্ষী দেশের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোর বার্ন ইউনিট ও মর্গগুলি।
এই অন্যায় জুলুম কোন পক্ষই দায় শিকার করছেনা, যদিও তা দিবালোকের মতই পরিষ্কার।
বি এন পি – আওয়ামিলীগের এই জুলুম নিষ্পেষণ আজকে নতুন নয়, বরং ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার দৌড়ে বলির পাঁঠা হয় সাধারণ জনগণ। বিএনপি আওয়ামিলীগ গণতন্ত্রেরই সৃষ্টি। তায় এ হত্যাযজ্ঞ, জুলুম, অন্যায় ততদিন চলতে থাকবে যতদিন গণতন্ত্র বহাল তবিয়তে এ দেশে প্রতিষ্টিত থাকবে।
বাংলাদেশ ১৫ কোটি মুসলমানের দেশ এখানে সধারণ জনগণের একমাত্র দাবি আল্লাহ্র হুকুমতেই দেশ চলবে। আর মুসলমানদের শাসনব্যবস্থা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারেনা। মুসলমানদের আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নির্ধারিত একমাত্র রাষ্ট্র ব্যবস্থা হল খিলাফত।
খিলাফত সে শাসনব্যবস্থা যেখানে পরিপূর্ণ আল্লাহ্’র হুকুম বাস্তবায়িত হয়। খিলাফত এমন শাসক ও দায়িত্বশীল পদ তৈরী করে যেখানে সকল দায়িত্বশীল আল্লাহ্কে ভয় করে ও জনগণের জবাবদিহিতার সম্মুখীন থাকে।
বাংলাদেশে বর্তমান সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ গণতন্ত্রকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করা। নিশ্চয় এই জমিনে ইমানদারদের সৎকর্ম ও দোয়ায় আল্লাহ্ খিলাফতের ওয়াদা পূরন করবে, ইনশাল্লাহ।
আমাদের প্রিয় রাসূল (স) বলেছেন “ …সুম্মা তাকুনু খিলাফাতান আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ” অর্থাৎ, অত্যাচারের অন্ধকারের যুগ শেষে নুবয়্যতের আদলের খিলাফাহ’র স্নিগ্ধ আলোর ভোর খুব সন্নিকটেই। এখন সময় এসেছে কুফরি গণতন্ত্রের বুকে পদাঘাত করে সেই দিকে ফিরে যাওয়া যে দিকে আল্লাহ্ ও তার রাসূল আমাদেরকে আহ্বান করছেন। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আল কুরআনে বলেন-
“হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সেই ডাকে সাড়া দাও, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যা তোমাদের মাঝে জীবনের সঞ্চার করে“। (আনফাল: ২৪)
আতিক রহমান