ইসলামী রাষ্ট্র – পর্ব ১৭ (ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের সাথে বির্তক)

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অমুসলিমরা মুসলিমদের শক্তিসার্মথ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে যে, মুসলিমদের শক্তিসার্মথ্য আসলে তাদের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। আর, তারা এটাও বুঝতে পারে যে, যে হৃদয় ইসলামের জন্য সকল প্রকার অত্যাচার নির্যাতনের পথ পাড়ি দিয়েছে সে হৃদয় কখনো দ্বীন ইসলাম রক্ষায় অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করতে পিছপা হবে না। বরং এ হৃদয় সবসময়ই ইসলাম রক্ষায় অবলীলায় জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। এছাড়া, মুসলিমরা এ সময় মদীনায় তাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করছিলো, ইসলামের সমস্ত হুকুম- আহকামকে বাস্তবায়িত করেছিলো এবং প্রতিদিনই দ্বীন ইসলাম নতুন এক উচ্চতায় উঠছিলো যা মুসলিমদের ক্রমশঃ করছিলো আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান ও সত্যিকার অর্থে পরিতৃপ্ত।

কিন্তু, ইসলামের শত্রুরা কোনভাবেই দ্বীন ইসলাম ও মুসলিমদের ক্রমবর্ধিত এ প্রভাব-প্রতিপত্তিকে সহ্য করতে পারছিলো না, বিশেষ করে মদীনার প্রতিবেশী ইহুদী গোত্রগুলোর মাঝে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ তীব্র ভাবে প্রকাশিত হল। মুসলিমদের ব্যাপারে তাদের ভয়ও ক্রমশ বাড়তে থাকলো। যখন তারা দেখলো যে, মুসলিমরা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে এবং অসংখ্য মানুষ ইসলামের আহবানে সাড়া দিচ্ছে তখন তারা নতুন করে মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর সাহাবাদের বিপরীতে তাদের অবস্থানকে পূণঃ বিবেচনা করলো। যখন তাদের নিজেদের মধ্য হতেও বেশকিছু মানুষ ইসলাম গ্রহণ করলো তখন তারা সত্যিকার ভাবে চিন্তিত ও ক্রোধান্বিত হয়ে পড়লো। তারা ভীত হলো এই ভেবে যে, দ্বীন ইসলাম একসময় তাদের মাঝেও প্রবেশ করবে এবং ইহুদী গোত্রগুলোর মধ্যেও ইসলাম বিস্তৃতি লাভ করবে। এ আশঙ্কায় তারা ইসলাম, ইসলামী আকীদাহ ও ইসলামের হুকুম-আহকামের প্রতি তীব্র আক্রমণের তীর নিক্ষেপ করলো। পরিণতিতে ইহুদী ও মুসলিমদের মাঝে তীব্র বাক-বিতন্ডা ও স্নায়ু যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন সংঘাতের সৃষ্টি হলো। বস্তুতঃ ইহুদী ও মুসলিমদের মধ্যকার এই বিবাদ ও সংঘাত মক্কার কুরাইশদের সাথে মুসলিমদের তীব্র সংঘাতের চাইতেও ব্যাপক ও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিলো।

আল্লাহর রাসূল (সা) ও তাঁর সাহাবীদের সাথে লিপ্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রামে ইহুদীদের মূল অস্ত্র ছিলো ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা ও পূর্ববর্তী নবীদের সম্পর্কে তাদের গুপ্ত জ্ঞান। তাদের মধ্যে এমন কিছু ধর্মগুরু ছিলো যারা বাহ্যিক ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলো। তারা মুসলিমদের সাথে উঠা-বসা করতো এবং পরহেজগারীতার ভান করতো। কিন্তু, অল্পকিছুদিনের মধ্যেই দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে তাদের সন্দেহ, অবিশ্বাস ও দ্বিধা-দ্বন্দ প্রকাশিত হয়ে গেলো। তারা মুহাম্মদ (সা)কে এমন সব প্রশ্ন করতো, যাতে ইসলামের মূল বিশ্বাস এবং ওহীর সত্যতা নিয়ে মুসলিমদের মাঝেও বিভ্রান্তি ও সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং তাদের দৃঢ় বিশ্বাসের ভীত নড়ে যায়।

আউস ও খাযরাজ গোত্রের মাঝে যারা শুধুমাত্র মুসলিমদের মাঝে শত্রুতা ও সন্দেহ সৃষ্টি করার জন্য ইসলাম গ্রহন করেছিলো, ইহুদীরা তাদের সাথেই দলবদ্ধ হলো। শেষ পর্যন্ত মুসলিম ও ইহুদীদের মধ্যকার এই সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছালো যে, শান্তিচুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রায় যুদ্ধ বাঁধার উপক্রম হলো।

একবার আবু বকর (রা) ইহুদীদের আক্রমণাত্মক কথাবার্তায় প্রচন্ড রাগান্বিত হন এবং তাঁর ক্রোধ দমনে ব্যর্থ হন। এখানে মনে রাখা দরকার যে, আবু বকর (রা) তাঁর অসাধারন প্রজ্ঞা, অসীম ধৈর্য্য ও ঠান্ডা মেজাজের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। এ ঘটনাটি মুসলিমদের প্রতি ইহুদীদের উদ্ধত্য ও তীব্র ঘৃণার একটি জলজ্যান্ত উদাহারণ। বণির্ত আছে যে, একবার আবু বকর (রা) ফিনহাস নামের এক ইহুদীকে ডেকে তাকে আল্লাহকে ভয় করতে বলেন এবং ইসলাম গ্রহন করার উপদেশ দেন।

এর জবাবে ফিনহাস বলে,“আমরা আল্লাহর মতো দরিদ্র নই, কারণ তিনি নিজেকে আমাদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আমরা তাঁর উপর নির্ভর করি না, কিন্তু তিনি আমাদের উপর নির্ভর করেন। তিনি যদি আমাদের উপর নির্ভর নাই করতেন তবে তিনি আমাদের তাঁকে ঋণ দিতে বলতেন না, যেমনটি তোমাদের নবী বলে থাকেন। তোমাদের নবী তোমাদের সুদ নিতে নিষেধ করেন, কিন্তু আমাদের করেন না। তিনি(আল্লাহতায়ালা)  যদি  সত্যিকার  ভাবেই  অভাবমুক্ত  হতেন  তবে,  আমাদের  জন্য  সুদ  হালাল  করতেন  না। ফিনহাস  এ  বিষয়ে  আল্লাহর নাযিলকৃত নিম্নোক্ত আয়াতটিকে উদ্দেশ্য করে, যেখানে আল্লাহতায়ালা বলেছেন,

“কে আছে এমন যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ, তবে আল্লাহ তা বহুগুণে বর্ধিত করে দেবেন।” [সুরা বাকারাহঃ ২৪৫]

আবু বকর (রা) ফিনহাসের এ উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে এতো বেশী রাগান্বিত হয়ে পড়েন যে, তিনি ফিনহাসের মুখে আঘাত করেন এবং বলেন, “সে সত্তার  কসম  যাঁর  হাতে  আমার  ভাগ্য!  ওহে  আল্লাহর  শত্রু,  যদি  আমাদের  মধ্যে  কোনরূপ  চুক্তি  না  থাকতো  তবে  আমি  অবশ্যই  তোকে  হত্যা করতাম।”

ইহুদী ও মুসলিমদের মধ্যকার এই তর্কবিতর্কের উষ্ণতা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে এবং এ অবস্থা বেশকিছু সময় ধরে বিরাজ করে। এ পরিস্থিতিতে খ্রীষ্টানদের ষাটজনের একটি দল নজরান থেকে মদীনায় আগমন করে। তারা ইহুদী ও মুসলিমদের মধ্যকার এই বিবাদ সম্পর্কে পূর্বেই অবহিত হয়েছিলো। তারা এ আশায় মদীনায় আগমন করেছিলো যে, হয়তো ইহুদী ও মুসলিমদের মধ্যকার এই ফাটল আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে এবং তাদের অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার জন্য খ্রীষ্টান ধর্মবিশ্বাস এক বিরাট ভূমিকা পালন করবে। একই সাথে খ্রীষ্টান ধমর্ও ইহুদী ও ইসলাম ধর্মের ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টানদের এই দলটি ইহুদী ও মুসলিম উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো।

আল্লাহর রাসূল (সা) ইহুদীদের সাথে সাথে তাদেরকেও আহলে কিতাব বলে সম্বোধন করেন এবং উভয় দলকে ইসলামের দিকে আহবান করেন। তিনি (সা) তাদেরকে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ে শোনান,

“বল (হে মুহাম্মদ)! হে আহলে কিতাবগণ, একটি বিষয়ের দিকে আসো যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করবো না, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবো না এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাবো না। কিন্তু, যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলঃ “তোমরা সাক্ষী থাকো যে আমরা মুসলিমদের অর্ন্তভূক্ত।” [সুরা আলি ইমরানঃ ৬৪]

এরপর, ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা মুহাম্মদ (সা) কে অন্যান্য নবীদের বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। আল্লাহর রাসূল (সা) এর জবাবে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ে শোনান,

“বল! আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু নাযিল হয়েছে আমাদের উপর এবং যা কিছু নাযিল হয়েছে ইব্রাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাদের সন্তানদের উপর এবং যা কিছু নাযিল হয়েছে মুসা এবং ঈসার উপর এবং যা কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীদেরকে দেয়া হয়েছে তার উপর। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং নিশ্চয়ই আমরা তার প্রতিই অনুগত।” [সুরা বাকারাহঃ ১৩৬]

এ  কথার পর  ইহুদী ও  খ্রীষ্টানরা  মুহাম্মদ (সা) কে  বলার মতো  আর কিছুই খুঁজে  পেতো না।  বস্তুত  তাদের  অন্তর  রাসূল (সা)  এই যুক্তিকে মেনে নিয়েছিলো এবং সত্য তাদের কাছে দিনের আলোর মতো প্রকাশিত হয়েছিলো। কিন্তু, তারা শুধু তাদের সম্মান, প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং সামাজিক পদমর্যাদা হারানোর ভয়ে ইসলাম গ্রহন থেকে নিজেদের বিরত রেখেছিলো এবং তাদের মধ্যে অনেকে এ কথা স্বীকারও করেছিলো। বর্ণিত আছে

যে, নজরান থেকে আগত আবু হারিছাহ্ নামে এক খ্রীষ্টান দূত, যে ছিল তাদের মধ্যকার একজন প্রসিদ্ধ আলেম, সে তার অন্তরঙ্গ বন্ধুর কাছে একথা স্বীকার করেছিল যে, মুহাম্মদ (সা) যে সত্য কথা বলছে এ ব্যাপারে তার মনে কোন সন্দেহ নেই। তার বন্ধু যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো তাহলে কেন সে সত্য জেনেও ইসলাম গ্রহন করছে না? এর উত্তরে সে বলেছিলো,“তারা (রোমান বা বাইজাইন্টাইনরা) আমাদের যেভাবে সম্মানিত করেছে, বিভিন্ন পদমর্যাদায় ভূষিত করেছে, অর্থ-সম্পদ দিয়ে যাচ্ছে, যদি আমি ইসলাম গ্রহন করি, তবে তারা এ সমস্ত কিছু আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে। কারণ, মুহাম্মদ (সা) যা বলে, তারা এর সম্পূর্ণ বিপরীতম অবস্থানে।” এ ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তাদের নিলর্জ্জ স্বাথর্পরতা, ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ ও অহেতুক অন্ধ গোর্য়াতুমিই আসলে তাদের ইসলাম গ্রহন করা থেকে বিরত রেখেছিলো। এরপর আল্লাহর রাসূল (সা) খ্রীষ্টান দূতদেরকে মুবাহালার (নিজেদের উপর আল্লাহর ক্রোধ বর্ষণের প্রার্থনা) জন্য প্রকাশ্যে আহবান করেছিলেন, যেন খ্রীষ্টান ও মুসলিমদের মধ্য হতে যারা মিথ্যাবাদী তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব বর্ষিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি (সা) তাদের উদ্দেশ্যে নীচের আয়াতটি পাঠ করেছিলেন,

“অতঃপর তোমার নিকট সত্য এসে যাবার পরও যদি এ সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ বিবাদ করে, তাহলে বলঃ আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের ও তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের। তারপর চলো আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী।” [সুরা ইমরানঃ ৬১]

এ আহবানের পর তারা (খ্রীষ্টান দূতেরা) নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে এবং ঘোষণা দেয় যে, তারা মবাহালায় অংশগ্রহন করবে না এবং মুহাম্মদ (সা) কে তাঁর আনীত দ্বীনের উপরই ছেড়ে দেবে আর, তারাও তাদের দ্বীনকেই আঁকড়ে থাকবে। এছাড়া, তারা মুহাম্মদ (সা) কে অনুরোধ করে যেন, তিনি (সা) তাঁর পক্ষ হতে একজন দায়িত্বশীল মুসলিমকে তাদের নির্দিষ্ট কিছু অর্থনৈতিক বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য পাঠিয়ে দেন। এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, রাসূল (সা) আবু উবাইদাহ ইবন আল-জাররাহকে ইসলাম দিয়ে তাদের বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য পাঠিয়ে দেন।

বস্তুতঃ এ পর্যায়ে, ইসলামী দাওয়াতের অপ্রতিরোধ্য গতি, ইসলামী আকীদাহর শক্তি এবং সত্যদ্বীনের শাণিত যুক্তিতর্কের ধার এমন ভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যে, মুনাফিক, ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের উত্থাপিত সমস্ত মিথ্যা যুক্তিতর্ক ও অভিযোগ নিমেষেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। তাদের ইসলাম বর্হিভূত ভ্রান্ত ধ্যান-ধারনা খুব দ্রুত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং পরাক্রমশালী অস্তিত্ব ও সঠিক জীবনব্যবস্থা হিসাবে শুধুমাত্র ইসলামই টিকে থাকে। এভাবে, ইসলামের হুকুম-আহকাম সম্পর্কিত সার্বক্ষনিক আলোচনা-পর্যালোচনা, ইসলামের দিকে মানুষকে আহবান ইত্যাদির মাধ্যমে ইসলাম ধীরে ধীরে মানুষের অন্তরের গভীরে প্রোথিত হতে থাকে। আর, ইসলামের সমুন্নত পতাকাতলে সকল ভ্রান্ত জীবনব্যবস্থা, বিশ্বাস ও শাসনকার্য বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু, এ সবকিছুর পরও মুনাফিক ও ইহুদীদের অন্তরে মুসলিমদের প্রতি তীব্র ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার আগুন দিনে দিনে বাড়তেই থাকে। একথা অনস্বীকার্য যে, মদীনায় ইসলামের শাসন-ক্ষমতা ও দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সমাজ সে সময় সবকিছুর উপর কর্তৃত্বশীল হয়। এছাড়া, বিভিন্ন ছোট ছোট অভিযানের মাধ্যমে মুসলিমদের প্রদর্শিত শক্তি-সামর্থ্য  ইসলামের শত্রুপক্ষের মুখও মোটামুটি বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত, মহান আল্লাহতায়ালার বাণীই সকল ভ্রান্ত মতাদর্শের উপর বিজয়ী হয় এবং ইসলামের শত্রুরা বাধ্য হয় আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও ইসলামের শাসন-কর্তৃত্বের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে নতি স্বীকার করতে।

Leave a Reply