শাহবাগে রাজনীতি

শাহবাগের আন্দোলন আজ দু সপ্তাহ হতে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরিণতি কি বা কারা এর দ্বারা লাভবান হতে যাচ্ছে এ নিয়ে জনগণের মাঝে সচ্ছ ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না তাই আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

এই আন্দোলন প্রথম শুরু হয় যখন বাংলাদেশের সেকুলার ব্লককে আশাহত করে বাংলাদেশের সেকুলার দল আওয়ামীলীগ যুদ্ধ অপরাধের বিচারকে পরবর্তী নির্বাচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যেয়ে কাদের মোল্লাহ কে সরকার দলীয় প্রসিকিউসনের মাধ্যমে তাকে ফাসির হাত হতে বাঁচিয়ে দেয়, এবং পরবর্তীদেরও বাঁচানোর রাস্তা খুলে দেয়। পরবর্তী নির্বাচনে যাতে বিএনপি না আসলেও জামাত অংশগ্রহণ করে এবং আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত হয় এবং আরও বছর ক্ষণেক আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে পারে । যা ভারত পন্থি সেকুলার ও বস্তুবাদী ব্লক বুঝে যায় এবং আন্দোলন শুরু করে পরবর্তীতে এটিএন নিউজের মুন্নি শাহার বদৌলতের পুর ভারত পন্থী মিডিয়া এটিকে সফল আন্দোলনের দিকে নিয়ে যায়।

আমদের এই আন্দোলন দেখে মনে করার কোন কারণ নেই যে এই আন্দোলন এই দেশে মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী। বা হাসিনার, ভারতের সাথে মার্কিনীদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যে ছক একেছিল তা সফল হয়নি বরং এতে তার দল ও সেকুলার ব্লকের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা কমেছে এবং খালেদাও তার দল ও জাতীয়তাবাদীদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বরং এই বিষয়টি মাইনাস ২ ফর্মুলাকে আরও শক্তিশালি করেছে, হাছিনা ও খালেদাকে আরও বেশি আমেরিকার দিকে আনুগত্যশীল করেছে।

ভারত এই আন্দোলন মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ইসলাম পন্থীদের এক হাতে শায়েস্তা করছে এবং তাদের ভারতের প্রতি আনুগত্যশীল করতে চাচ্ছে অথবা তাদের নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে যাতে বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ বাস্তবায়নে আর কেউ বাধা হয়ে না দাড়ায়। যেটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সালমান খুরশিদের বক্তব্য এবং এই সফরে ২০০৯ এর প্রোটকল বাস্তবানের সফল প্রচেষ্টা, ও ইসলাম পন্থী জাতায়তাবাদী পত্রিকা নিষিদ্ধের দাবি দেখে বোঝা যায়। যদিও আমেরিকা গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনীতি বন্ধের দাবি বাস্তবায়িত হতে দিবে না এতে আদর্শিক ইসলামী রাজনীতি ও মিলিট্যান্ট ইসলামের উদ্ভব ঘটে।

সর্বোপরি এই আন্দোলনের মাঝে সাম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের জনগণের দৃষ্টিকে দুটি মেরুর দিকে নিয়ে গেছে বস্তুবাদী সেকুলার ব্লক এবং তাদের বিরোধী জাতীয়তাবাদী ইসলাম। যাতে বাংলাদেশে আদর্শিক ইসলামী রাজনীতি বাধা গ্রস্ত হয় এবং উম্মাহ যাতে এমন কিছু আবেগ ও স্বার্থকে নিজের স্বার্থ ও আবেগ মনে করে যার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এবং উম্মাহর সম্পদ এবং ভুমিকে সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।

Leave a Reply