بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনুল কারীমে বলেছেন:
“তাদের অন্তরে ব্যাধি আছে আর আল্লাহ্ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। [সূরা বাকারাহ্: ১০]”
“Being Heard” এবং ” Instant Gratification” এই দুইটি মারাত্মক ব্যাধি।
আমরা সবসময় চাই, সবাই আমাদের বলা সব কথা শুনুক এবং প্রাধান্য দিক তথাপি আমাদের মুল্যায়ন করুক। আমরা খুব দ্রুত ফলাফল প্রত্যাশী। এই মন-মানসিকতা আমাদের সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন। কিন্তু একজন সত্যিকার দ্বীনের দা’য়ী সবসময়ের কাম্য হওয়া উচিত; আল্লাহ’র সন্তুষ্টি অর্জন। যেমনটি, আমরা দেখি নুহ আ: এর বেলায়। কিংবা হাদীসে এসেছে কিয়ামাহ’র দিন এমন অনেক নবী আসবেন যাদের একজন অনুসারী ও থাকবে না। তাই, সবাইকে শুনতে হবে, মুল্যায়ন করতে হবে আর দ্রুততর ফলাফল লাভের প্রত্যাশী হওয়া যাবে না।
আমাদের দ্বীনী ভাইদের যারা দাওয়াহ্’র কাজ করছেন; আল্লাহ্ আমাদের সকলকে এই ব্যাধিদ্বয় থেকে হিফাজত করুন।
আমরা যা বলি তা যথার্থভাবে আমাদের অনুধাবন করতে হবে এবং তা পালনে সচেষ্ট হতে হবে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন:
“হে মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা কেন বল? তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহ্’র কাছে খুবই অসন্তোষজনক।” [সূরা সাফফ্:২-৩]
আর আমরা যে দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করছি তার উদ্দেশ্য যদি এই হয়;
#মানুষ আপনার বাকচতুরতায় দৃষ্টি নিবন্ধ করবে আপনার দিকে,
#আপনি লব্ধ জ্ঞান দ্বারা মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন,
#আপনি বিদ্বানদের সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন;
তবে, এমন জ্ঞান থেকে আমাদের সকলের পানাহ্ চাওয়া উচিত।
হে আল্লাহ্! আমাদের উপকারী জ্ঞান দাও।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন:
“এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে।” [সূরা যারিয়াত:৫৫]
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের বোঝার তৌফিক দিন।
امين
سبحانك اللهم و بحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت أستغفرك و أتوب إليك
সায়্যিদ মাহমুদ গজনবী