১৯ শতকের শেষের দিকে সর্বপ্রথম ইউরোপে “মৌলবাদ” শব্দটির আবির্ভাব ঘটে। এটি তখন সাধারণত নব বিজ্ঞান ও দর্শনের বিরুদ্ধে চার্চের দৃষ্টিভঙ্গি এবং খৃষ্টান বিশ্বাসের প্রতি গোঁড়া আনুগত্যকে বোঝাতে ব্যবহৃত হতো।
প্রোটেস্টেন্ট আন্দোলনকে মৌলবাদের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মতবাদের মৌলিক নীতিমালা ১৮৭৮ সালের নায়াগ্রা কনফারেন্স এবং ১৯১০ সালে অনুষ্ঠিত জেনারেল প্রিসবিটারিয়ান সম্মেলনে চূড়ান্ত করা হয়। তারা এমন কিছু খ্রিস্ট-মতাদর্শের ভিত্তিতে নিজেদের নীতি নির্ধারণ করে, যেগুলো সুস্পষ্টত জীবন থেকে ধর্মকে আলাদা করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত পুঁজিবাদীদের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রার পথে অন্তরায় ছিল।
যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই মতবাদ বিলীন হয়ে যায়, তথাপি ইউরোপীয়দের বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে উন্নতি এবং অগ্রযাত্রার পথে মৌলবাদ অন্যতম বাধা। এটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক পশ্চাৎপদতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা নবজাগরণের যুগে বেমানান। এবং তারা ব্রত করে নেয় যে, এর প্রভাব সমাজ ও ব্যক্তি জীবন থেকে দূর করতে শক্তভাবে লড়াই করতে হবে।
খ্রিস্ট ধর্মকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফলে বিজ্ঞান ও শৈল্পিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এই মতবাদ আবির্ভূত হয়। পুঁজিবাদ এবং ধর্মকে জীবন থেকে আলাদা করার এই নব জীবনধারার সাথে খ্রিস্ট ধর্মের সমন্বয়হীনতা দূর করতে এই মতবাদ সামনে আসে। এটি খ্রিস্ট ধর্ম অনুসারীদের বস্তুগত উন্নতি এবং পুঁজিবাদী সংস্কৃতির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এই মৌলবাদ আন্দোলন ব্যর্থ হয়। মানুষের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার বাস্তবমুখী সমাধান দিতে না পারায় এটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো এবং খ্রিস্টানদের কাছে অগ্রহণযোগ্য কিছু নীতিমালা তৈরি করার কারণে এই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি।
ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের আন্দোলনকে মৌলবাদ বলার মূল ক্রীড়নক হচ্ছে পশ্চিমারা। পুঁজিবাদী মতবাদ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে সাধিত প্রযুক্তিগত, শৈল্পিক এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন অগ্রগতিকে প্রশ্ন করলেই এটিকে ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
তাই তো দেখা যায়, বিভিন্ন ইসলামি আন্দোলন এবং মুসলমানদের সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠনকে পশ্চিমা রাষ্ট্র-চিন্তক, রাজনীতিবিদ আর তাদের পদলেহনকারী কিছু নামধারী মুসলমানেরা মৌলবাদের ধোঁয়া তুলে তাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলে। কারণ তাদের দৃষ্টিতে মৌলবাদ মানে পশ্চাৎপদতা এবং প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করা। আর এটি বিজ্ঞান ও শৈল্পিক অগ্রগতির পথে অন্তরায়।
কোনো নির্দিষ্ট দল বা আন্দোলনকে সেরেফ মৌলবাদী আখ্যা দেওয়াই এটিকে আধুনিক বস্তুবাদী সমাজ আর মানুষের সামনে ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করার জন্য যথেষ্ট। মিসর কিংবা আলজেরিয়ার মতো রাষ্ট্র যদি কোনো মুসলমানকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে হত্যা করে, তখন পশ্চিমা সুশীল সমাজ এটিকে স্বাগত জানায় এবং নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করে। তখন কোনো মানবাধিকার সংগঠন এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কথা বলে না। কারণ নিহত ব্যক্তি তাদের ভাষায় মৌলবাদী। সবাই তাদেরকে মানবতার শত্রু হিসেবে ঘৃণার নজরে দেখে। বিশেষ করে যখন তাদের বিরুদ্ধে খুবই জঘন্য অভিযোগ আরোপ করা হয়। যেমন: আলজেরিয়ার নিরীহ মানুষ হত্যা এবং মিসরে পর্যটক হত্যার জন্য তারা দায়ী।
ইসলামের খিলাফত ও শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলমানদের বর্তমান দুর্বিষহ জীবনকে ইসলামী জীবনে পরিবর্তন করতে যারা কাজ করে, এমন প্রতিটি আন্দোলন ও দলকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে মৌলবাদ শব্দটিকে বর্তমানে এর মূল টার্ম থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে।
ইয়াহুদি, সার্বিয়ান, আমেরিকা এবং অন্যান্য নিপীড়ক ও মুসলমানদের ভূমি অন্যায়ভাবে দখলকারীদের বিরুদ্ধে চলমান সকল আন্দোলনকেও এভাবে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে দমনের চেষ্টা করা হয়। তাদের ভাষায় মুসলিম যোদ্ধা, যারা নিজেদের ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসী। বিদেশি দখলবাজ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়ে যারা শাহাদাত বরণ করেছে, তাদের ভাষায় তারাও আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসী। প্রত্যেক মুসলমান এবং অন্যায় ও দখলদারত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী প্রতিটি দলের জন্য এই ট্যাগ বিপজ্জনক।
ইসলামি জীবনবিধান পুনরুদ্ধারের জন্য শরিয়ার নিরিখে কাজ করে এমন প্রতিটি দলের জন্য বিষয়টি উদ্বেগজনক। এই বয়ান দাঁড় করিয়ে মৌলবাদী তকমা ব্যবহার করে তারা পুঁজিবাদী রেনেসাঁর যুগে শিল্প ও বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান মৌলবাদীদের মতো মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য বৈধ ন্যায্যতা তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইসলামি বিভিন্ন আন্দোলনকে এই মৌলবাদ ট্যাগ দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, পশ্চিমা সমাজে এই টার্মটির ঐতিহাসিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মৌলবাদ শব্দটির কারণে পশ্চিমা লোকেরা জীবনবিধান হিসেবে রাজনৈতিক ইসলামকে রুখে দিতে তাদের শাসকের পক্ষে এসে দাঁড়াবে।
কোনো মুসলমানের এমনটি ভাবা উচিত নয় যে, দ্বীনের মূল ভিত্তি অথবা ফিকহি বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি অনুরক্ত থাকার কারণে ইসলামি আন্দোলনকে মৌলবাদ আখ্যা দেওয়া হয়। ইসলামি আকীদার মূল ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা, ফেরেশতা, ঐশী গ্রন্থসমূহ, নবী-রাসুলগণ, বিচার দিবস এবং তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। বিভিন্ন ফিকহি নীতিমালার মৌলিক বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন দলিল ও প্রমাণ, যেগুলোর ওপর গবেষণা করে মুজতাহিদ (স্কলার) আলেমগণ ব্যবহারিক শর’ঈ আইন প্রণয়ন করেছেন।
পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে মৌলবাদ প্রোটেস্টেন্ট খৃষ্টান সমাজ কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্দোলন। যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই আন্দোলন গড়ে ওঠেছে, ইসলামি মূল্যবোধ বা ইসলামি আন্দোলনের সাথে এর সমসাময়িক কিংবা ঐতিহাসিক কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইসলামের ইতিহাসে রাজনৈতিক আন্দোলন, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আইনি বিভিন্ন স্কুল অব থট সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই খৃষ্টানদের মৌলবাদ মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি হিজরি সপ্তম শতাব্দীতে ‘ইজতিহাদ’ (শর’ঈ কোনো মাসআলা নিয়ে গবেষণা করা) এর রাস্তা এই জন্য বন্ধ করা হয়নি যে, উলামায়ে কিরাম পুরোনো নীতিমালাকে আঁকড়ে ধরতে চায় আর নতুন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করতে চায়। বরং তারা ধরে নিয়েছিলেন যে, ইসলামি ফিক্বহ নিয়ে যত সমস্যা আছে, সব সালাফদের মাধ্যমে সমাধা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এখানে নতুন কোনো গবেষণার আর প্রয়োজন নেই।
ইসলাম অন্যান্য ধর্ম থেকে এই ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম যে, এটিই চূড়ান্ত ধর্ম এবং এর পূর্বে আগত সকল ধর্মকে রহিতকারী। আল্লাহ তা’আলা এটিকে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত সংরক্ষণ করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
إِنَّا نَحْنُ نَزَلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهَ لَحَفِظُوْنَ
নিশ্চয় আমি কুরআন নাজিল করেছি এবং আমিই এর হিফাজত করব। [সুরা হিজর, আয়াত ৯]
এটি মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তৃত মতবাদ। যেখান থেকে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আগত মানুষের যাবতীয় বিষয়ের সমাধানে একটি বিস্তৃত ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। এটি একটি অকল্পনীয় বিষয় যে, এই আদর্শ মানুষের কোনো সমস্যার সমাধান প্রদান করতে পারবে না। এটি বরং সকল সমস্যার সমাধান প্রদান করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَبَ تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ
আমি আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছি, যা প্রত্যেক বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা। [সুরা নাহল, আয়াত ৮৯]
অতীতে মুসলিম বিশ্ব যে বৈজ্ঞানিক এবং শৈল্পিক উন্নতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে, এটি ছিল ইসলামের ব্যাপক ভূমিকার ফল। জীবন থেকে ইসলামকে বিচ্ছিন্ন করে এটি সম্ভব হতো না। আজকের যুগেও মানুষ বিজ্ঞান ও শিল্পের যে উৎকর্ষতা দেখতে পাচ্ছে, এর পেছনে পূর্বেকার সেসব মুসলিম বিজ্ঞানীদের থিওরি এবং নীতিশাস্ত্রের অনেক প্রভাব রয়েছে, যারা ইসলামি জীবনধারা এবং ইসলামি রাষ্ট্রের ছায়ায় বসবাস করে এসব কাজ করেছেন।
তাই খৃষ্টানদের আন্দোলনের সাথে সাদৃশ্য টেনে বিভিন্ন ইসলামি আন্দোলনকে মৌলবাদ আখ্যা দেওয়া চরম ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা। এটি ইসলাম কিংবা যারা ইসলামকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কাজ করে, তাদের প্রকৃত বাস্তবতা নয়। কারণ তারা শুধু মানবসৃষ্ট সিস্টেমের দুঃশাসনের কারণে মুসলমানদের জীবনে আগত এই দুর্বিষহ অবস্থা দূর করতে চায়। যেটি সুস্পষ্টত খৃষ্টান মৌলবাদের বিপরীত। তারা মূলত পুঁজিবাদের উত্থানের পূর্বে যে ভোগবাদী জীবন নিয়ে মেতেছিল, সেটি আবার ফেরত পেতে চাচ্ছিল।
সুতরাং বিভিন্ন ইসলামি আন্দোলনকে পশ্চিমা সমাজ কর্তৃক মৌলবাদ আখ্যা দেওয়া স্পষ্টতই এই বিষয়টি নির্দেশ করে যে, তারা পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে ইসলামের প্রত্যাবর্তনের বিপক্ষে পরোক্ষ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি কৌশলগত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তারা তৃতীয় বিশ্ব-বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে যে কোনো ধরনের সত্যিকার রেনেসাঁ থেকে পেছনে এবং দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। এটি খিলাফত প্রতিষ্ঠা রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা। কারণ তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, খিলাফাহ তাদের এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উপড়ে ফেলবে এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আর লোভের ইতি ঘটাবে।
তাদেরই একজন ব্যক্তির সাক্ষ্য শুনুন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজের ভিজিটিং স্কলার। তিনি মার্কিন কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মৌলবাদীরা মনে করে, শরীয়া আইন অবশ্যই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রয়োগ করা উচিত এবং আল্লাহ তা’আলার আদেশ-নিষেধ অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতে হবে। আর এই নীতিমালা সকল মুসলমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ইসলাম তাদের চালিকাশক্তির প্রাথমিক উৎস। আর শরিয়া আইন পূর্বেও যেভাবে প্রয়োগ উপযোগী ছিল, আজও এর উপযোগিতা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৌলবাদীরা পশ্চিমা সভ্যতাকে অত্যন্ত ঘৃণার নজরে দেখে। ইসলামি আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা পশ্চিমা সভ্যতাকে পথের কাটা মনে করে।’
আমেরিকান স্কলার জন এসপজিটো মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ‘মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী আমেরিকার স্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
সুতরাং কাফিররা মূলত মৌলবাদের নামে জীবনে ইসলামের আইন পুনঃপ্রয়োগের আন্দোলনকে আক্রমণ করছে। এটা যদি মৌলবাদ হয়, তাহলে তাদের দৃষ্টিতে সকল মুসলমান মৌলবাদী। কারণ সকল মুসলমান অধীর আগ্রহ ও উৎফুল্লতার সাথে খিলাফতের ছায়ায় ইসলামের সকল বিধান পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা, এই বিশ্বকে পুঁজিবাদের থাবা থেকে মুক্ত করা এবং সবাইকে ইসলামের গৌরবান্বিত সোনালি যুগে ফিরিয়ে নিতে অপেক্ষা করছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَى إِلَى الْإِسْلَامُ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّلِمِينَ * يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُوْرِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَفِرُونَ
যে ইসলামের আহ্বান পেয়েছে, তারপরও সে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যারোপ করে, তার চেয়ে বড় জালিম আর কে? আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না। তারা ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নুর নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তো তাঁর নুর পরিপূর্ণ উদ্ভাসিত করবেন, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। [সুরা সফ, আয়াত ৭-৮]
Taken from the book “Dangerous Concepts”
Translated by “Sabah Publication”