Election বা নির্বাচন হচ্ছে ইসলামী শরীয়া’র অনুমোদিত উপায়সমুহের একটি যার মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করা হয়। রাসূল (সা) বা’ইয়াতে আকাবায় বলেছেন,
أَخْرِجُوا إِلَيَّ مِنْكُمْ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا يَكُونُونَ عَلَى قَوْمِهِمْ
“তোমাদের মধ্য থেকে বার জন নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি (নাকীব) নিয়ে এসো, যারা তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে”।
বর্তমানে ইসলামী ভূমিতে সকল ক্ষমতাসীন শাসনব্যবস্থায়ই অনৈসলামিক। কেননা, এগুলো কুফর শাসনব্যবস্থা যা আল্লাহর কিতাব ও রাসূল (সা) এর সুন্নাহ থেকে নেয়া হয়নি (শুধুমাত্র কতিপয় অংশ ব্যতিত)। যেকোনো মুসলিম যারা আল্লাহ ও রাসূল (সা)-কে বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে এই ব্যবস্থায় কোনরূপ সাহায্য বা অংশগ্রহণ কিংবা শাসনব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা রাখা সম্পূর্নরূপে হারাম। বরং প্রতিটি মুসলিমের উচিৎ সবোর্চ্চ গতি ও অধ্যবসায় এর সাথে এই কুফর ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসা এবং এর পরিবর্তে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন,
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ
“আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অনুযায়ী শাসন করেনা, তারাই কাফের“। [সূরা মায়েদা: ৪৪]
বর্তমান শাসকগোষ্ঠী মুনকারের ধারক ও বাহক এবং সুরক্ষাকারী, শুধু তাই নয়, তারাই হচ্ছে মুনকার প্রধান। অথচ রাসূল (সা) মুসলিমদের আদেশ দিয়েছেন,
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ
“তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো মুনকার (খারাপ বা হারাম কাজ হতে) দেখো, তবে তা হাত দিয়ে পরিবর্তন করো, যদি তোমরা তাতে সক্ষম না হও, তবে মুখের দ্বারা (পরিবর্তন করো), যদি তা না পার, তবে অন্তরের মাধ্যমে (পরিবর্তন কর) এবং এটাই সবচেয়ে দূর্বলতম ঈমান।”
অতএব হে মুসলিম, আপনাদের প্রতি আহ্বান, শুধু সাহায্য বা অংশগ্রহন থেকে বিরত থেকে নয় বরং এই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করুন। প্রত্যেক মুসলিমেরই এই কুফর ও মুনকারের প্রতি হৃদয়ের মাধ্যমে ঘৃণা পোষন করা উচিত এবং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আল্লাহ কে বলা উচিত; হে আল্লাহ, আমাদের উপর চেপে বসা এই মুনকারটিতে আমরা সন্তুষ্ট নই। পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলিমের মুখ দিয়ে পরিবর্তন করা উচিত, তার পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীর মধ্যে দাওয়া করে তা সম্ভব। আর যারা এই শাসনব্যবস্থায় থেকে সন্তুষ্ট থাকে,এর শাসকদের প্রশংসা করে ও সাহায্য করে, সে কিঞ্চিত পরিমান ঈমানও তার অন্তরে লালন করে না। সাবধান! হে মুসলিমগন, এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখবেন না, কেননা এই ব্যাপারটিতে জড়িয়ে আছে ঈমান এবং কুফর।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মুসলিম যে আল্লাহ কে ভয় করে তার পক্ষে কি এই কুফর শাসনব্যবস্থায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া জায়েজ হবে? এর উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ, জায়েজ হবে শুধুমাত্র তখনই, যখন সেই প্রার্থী প্রকাশ্যে ঘোষনা দিবে যে,
– সে এই ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না,
– সে নির্বাচিত হোক বা না হোক, এই ব্যবস্থায় কোনরূপ অংশগ্রহণ বা সহবস্থান করবে না,
– সে এই ব্যবস্থায় বিশ্বাসী কোন প্রার্থীকে কোনোরূপ সাহায্য প্রদান করবে না, তা হোক ব্যক্তিগতভাবে বা নির্বাচনী তালিকার অংশ হিসেবে,
– এবং সে প্রকাশ্যে আরও ঘোষনা দিবে যে তার এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল পার্লামেন্ট বা সংসদ কে ব্যবহার করে হকের কথা প্রচার করা এবং তাগুতকে উৎখাতের জন্য মুসলিমদের আহ্বান করা।
কোন প্রার্থীর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট হবে না যে সে মনে মনে এই ধারনা পোষন করে অথচ শর্তসমুহ গোপন করে। বরং শরীয়া বাধ্যতামুলক করে দিয়েছে যে সে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিবে। কেননা, যেকোনো ব্যক্তিই সন্দেহযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত হতে পারে, যখনি সে এই শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রার্থীতার ঘোষনা দেয়। তাই সে যদি নিজেকে সন্দেহযুক্ত অবস্থায় রেখে দেয় সে গুনাহগার হবে। এই অবস্থায় যে কোন মুসলিমের পক্ষে হারাম হবে উক্ত প্রার্থীকে নির্বাচন করা, সাহায্য করা অথবা সাধুবাদ জানানো যদি সে জয়লাভ করে।
একজন সংসদ সদস্যের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে আইন প্রণয়ন (legislation), মন্ত্রীসভার আস্থা ভোট (vote of confidence in cabinets), চুক্তির অনুমোদন (ratification of treaties), প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (election of a republic’s president) এবং শাসকবর্গ ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করা। সুতরাং, শুধুমাত্র শেষের কাজটিই একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে করা হালাল হবে, অন্যসকল কাজকর্ম হারাম। কেননা, আইন কুরআন ও সুন্নাহ ব্যতীত অন্য কোন উৎস থেকে হতে পারে না। সার্বভৌমত্ব শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার অর্থাৎ তিনিই আইন প্রনয়নকারী। আল্লাহ যা হালাল করেছেন তার বাইরে কিছুই হালাল নয় এবং আল্লাহ যা হারাম করেছেন এর বাইরে কিছুই হারাম নয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন,
اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ
“তারা তাদের যাজক ও দরবেশদের আল্লাহর পরিবর্তে রব হিসেবে গ্রহণ করেছে“। [তওবা: ৩১]
রাসূল (সা) এই আয়াতটি তেলাওয়াত করেছিলেন যখন আদী ইবনে হাতীম আত তা’ঈ (রা) ক্রুশ পরিহিত অবস্থায় এসেছিলেন। আদী বলেছিলেন তারা তাদের (র্যাবাই ও যাজক) উপাসনা করেন না। রাসূল (সা) বলেছিলেন,
أَجَلْ وَلَكِنْ يُحِلُّونَ لَهُمْ مَا حَرَّمَ اللَّهُ فَيَسْتَحِلُّونَهُ وَيُحَرِّمُونَ عَلَيْهِمْ مَا أَحَلَّ اللَّهُ فَيُحَرِّمُونَهُ فَتِلْكَ عِبَادَتُهُمْ لَهُمْ
“হ্যা, (অনুসারীরা করে), তারা (দরবেশ ও যাজকশ্রেনী) হালাল কে হারাম এবং হারাম কে হালাল বানিয়েছে এবং অনুসারীরা তা অনুসরন করেছে। আর এটাই হচ্ছে তাদের ইবাদত।”
এরপর আদী মুসলিম হয়ে গেলেন। তাই যারা আইন প্রনয়ন করে, হালাল ও হারাম ঘোষনা করে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত, তারা আসলে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং নিজেদেরকে ইলাহে পরিনত করে আর যারা এই ব্যাপারে তার সহযোগী হয় তারা আল্লাহর পরিবর্তে তাকেই ইলাহ হিসেবে মেনে নিয়েছে।
তাই হে মুসলিম, জেগে উঠুন। যে সংসদ সদস্য কুফর রীতিতে মন্ত্রীসভার উপর আস্থা প্রদান করে, কুফর আইনের ভিত্তিতে চুক্তির অনুমোদন করে অথবা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে যে কুফর দ্বারা শাসন করে, তবে সেই প্রার্থী ও তাদের সাথে সমপরিমান অপরাধে অংশগ্রহন করে। আর সেই মুসলিম ব্যক্তি যে সংসদ সদস্যকে এই পর্যায়ে যেতে সাহায্য করে, সেও একই অপরাধে সামিল।
একজন মুসলিম সে সংসদ সদস্য হোক বা না হোক তার প্রধান উদ্বেগ হওয়া উচিত উম্মাহর অনিবার্য লক্ষ্য (vital cause)। আর তা হলো উম্মাহকে ‘পশ্চিমা মুর্তিপুজার থাবা’ (ভিত্তিহীন পশ্চিমা সংস্কৃতি) হতে রক্ষা করা এবং খিলাফত পুনপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামের আলোর দিকে দিকনির্দেশনা দেওয়া। এর পরিবর্তে বর্তমান যুগের সংসদ সদস্যদের আমরা দেখি রাস্তা তৈরী করতে এবং নির্বাচকমন্ডলীর কার্যক্রমের অনুমোদন দিতে, যদিও একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে বিচারবিভাগ বা অন্য যেকোনো শাসন বিভাগে অংশগ্রহণ একটি ‘ফাহিশা’ বা সীমালঙ্ঘন। জর্ডানের সংসদ সদস্যদের একটি ব্লগ (Islamic Action Front) একবার সংসদ প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছিল যদি সরকার রুটির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে। আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই, তারা তখন কেন প্রত্যাহার করল না যখন জর্ডান সরকার শত্রুর সাথে শান্তিচুক্তি করে, তা কেন তারা প্রত্যাহার করল না যদিও তারা নাকি বিশ্বাস করে এই ব্যবস্থাটি কুফর? নাকি রুটির দাম এর চেয়ে বেশী জরুরী? সরকার কি তাদের প্রত্যাহার বা নমনীয়তার পরোয়া করে? তাই যেইসব প্রার্থী যেকোনো উপায়ে একটি সংসদীয় আসনের জন্য লড়াই করে নিজেদের অপমানিত করে, তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত বর্তমান সংসদ সদস্যদের দেখে, তারা দেখবে যে এই সংসদ সদস্যদের অবস্থান আসলেই অর্থহীন। তারা দেখবে যে, যেটাকে তারা চতুরতা ও বাস্তবতার যাচাই মনে করেছিল সেটি আসলে একটি মরিচীকা ও পরিষ্কাররূপে দূরদর্শিতার অভাব। এটি আসলে শাসকগোষ্ঠীর দাসত্ববরণ এবং ইসলাম ও নিজের উপর অত্যাচার। আর এই কারণেই এই সংসদ সদস্যরা যারা ইসলামকে নীতি-নির্ধারনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিষ্ঠায় আসন গ্রহণ করেছিল, তারা যখন ব্যর্থ হয় তখন জনগন মনে করে যে, শুধুমাত্র ব্যক্তি নয়; ইসলামই ব্যর্থ হয়েছে।
কিছু প্রার্থী তাদের কার্যক্রম কে জায়েজ করার জন্য এই ফতোয়া দেয় যে, ‘দুটি মন্দের মধ্যে ভালটি’। ইহুদিদের নির্বাচনে আরবরা পেরেস-কে নেতানিয়াহুর বিপরীতে এই গন্য করে সমর্থন করেছিল যে পেরেস ও নেতানিয়াহু উভয়ে মন্দ, তবে পেরেস তুলনামুলক কম মন্দ। তাই আরবদের জন্য পেরেস কে নির্বাচিত করা বাধ্যতামুলক হয়ে গিয়েছিল। একইভাবে, রাশিয়ার নির্বাচনে ইয়েলস্টিন ও কমিউনিস্ট ইওগানভ (Zyuganov) উভয়ই মন্দ ছিল কিন্ত ইয়েলস্টিনকে কম মন্দ গন্য করায় মুসলিমদের জন্য তাকে সমর্থন করা বাধ্যতামুলক হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ তাদের মতে, ক যদি নির্বাচিত হয় তা মন্দ হবে এবং খ যদি নির্বাচিত হয় তবে তাও মন্দ হবে। কিন্ত, যেহেতু ক তুলনামুলক কম মন্দ তাই ক- কে নির্বাচিত করা বাধ্যতামুলক। এটি কোনো ফিকহ নয় বা কোনো ইজতিহাদও নয়। এই আইনি ভিত্তিটি (the legal basis) এখানে প্রযোজ্য হবে না। উদাহরনস্বরুপ, কেন পেরেসের মুনকার নেতানিয়াহুর মুনকার হতে কম হবে? কে বলল যে ক; খ থেকে কম মন্দ। প্রকৃতপক্ষে এগুলো হলো শুধুমাত্র খেয়াল-খুশি। শরীয়ার ভিত্তি সেখানেই প্রযোজ্য হবে যেখানে শরীয়া দলীল দিয়ে নির্ধারন করে, দুই মন্দের মধ্যে তুলনামুলক কম কোনটি এবং যেখানে এই দুই মন্দ ব্যতীত (তৃতীয়) উপায় থাকে না। Election বা নির্বাচনে অবশ্যই অন্য উপায় বিদ্যমান প্রার্থীর পক্ষে, তা হল প্রাথীতার অনুবন্ধ থেকে শেষ পর্যন্ত শরীয়ার আদেশ মান্য করা, যেটা কার্যকর ও সম্ভব। তাই ‘দুটির মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মন্দ’ এই শরীয়া ভিত্তির দোহাই দেয়া এই ক্ষেত্রে অকার্যকর। প্রকৃতপক্ষে একজন মুসলমানের পক্ষে সবচেয়ে উত্তম পথ খোলা রয়েছে আর তা হলো নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা এবং মন্দের রসাতলে তলিয়ে না যাওয়া।
এটি সত্য নয় যে একজন মুসলিম (হোক সেটি মুল বিষয় বা সামান্য বিষয়) সংসদ ব্যতীত কাজ করতে পারে না। এটিও সত্য নয় যে সংসদের মাধ্যমেই সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংসদে অংশগ্রহন একটি মিথ্যা সাক্ষ্য, কাযক্রমে নিস্ক্রিয়তাদানকারী এবং উম্মাহর চেপে রাখা ক্ষোভের বিস্রাবন, বিশেষ করে প্রার্থীরা যখন আল্লাহকে ভয় করে (জনগনের ভাষ্যমতে)। প্রকৃত আল্লাহভীরু ব্যক্তির পক্ষে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে এ থেকে বিরত থাকা নতুবা সে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার সরঞ্জামে পরিনত হবে।
কয়েক বছর আগে (১৯৯০ সালে) আমরা দেখেছি আলজেরীয়ায় ‘ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট’ নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বীনকে বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারে নি। বরং তাদেরকে কারাগারে যেতে হয়েছিল কেননা কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার মূল অধিকারিরা কখনোই শত্রুর কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর করবে না। তুরস্কতে আমরা দেখেছি Refah Party কে মন্ত্রীসভায় সুযোগ দেয়া হয়নি যতক্ষন না তারা ক্ষমতার দালালদের কাছে অঙ্গীকার করে ও নিশ্চয়তা দেয় যে, সেকুলারিজম ব্যাতীত অন্য কিছু বাস্তবায়ন করবে না এবং ঠিক তাই করবে যা কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তিবর্গ চায়। সুতরাং সমাধান সংসদের মধ্য থেকে নয় বরং শক্তিশালী পক্ষের সাহায্য নিয়ে কর্তৃত্ব গ্রহনের মধ্যেই নিহিত।
কতিপয় মুসলিমদের মধ্যে ইসলামের বিজয়ের ব্যাপারে হতাশা কাজ করে। আর এই হতাশা তাদেরকে কুফর শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহনে বাধ্য করে। এখন সময় হয়েছে এই হতাশা ঝেড়ে ফেলার, এখন সময় হয়েছে সেইসব পশ্চিমা মতবাদ ও রীতিকে ধ্বংস করার যা আমাদের সংস্কৃতিতে ঢুকে আমাদের কে স্বার্থবাদী করে শুধুমাত্র লাভের পিছনে ছুটতে বাধ্য করছে। এখন সময় হয়েছে খিলাফত বাস্তবায়ন করার, শরীয়া বাস্তবায়ন করার এবং কুফর ব্যবস্থার অধীনে কুফর নির্বাচনের পরিবর্তে ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে শুরা সদস্য নির্বাচন করার।
يُرِيدُونَ أَنْ يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
“তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর আলোকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ (এ ব্যপারে) অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, এ ব্যতিত যে তিনি অবশ্যই তাঁর আলোকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে“। [তওবা:৩৩]
মূল: একটি আরবী লিফলেটের অনুবাদ (ইংরেজী থেকে অনুবাদকৃত)