একমাত্র খিলাফত ব্যবস্থাই পারে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার নিশ্চিত করে শিল্পখাতকে স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে
বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা সর্বনিম্ন মাসিক মজুরি ৩,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮,১০০ টাকা করার দাবিতে ২১ শে সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে সহিংস আন্দোলন শুরু করে। শত শত শ্রমিক পুলিশের আঘাতে আহত হয়, অনেক সম্পদ ভাংচুর ও লুটপাট হয়। ঢাকা এবং তার আশেপাশের কারখানাগুলোতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কয়েকশত কারখানার কাজ বন্ধ থাকে। চলতি বছরের (২০১৩) জুন মাসে সরকার কর্তৃক সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ বোর্ড গঠন করে দেয়া হয়েছে যেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা গত আগষ্ট মাসে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর গার্মেন্টস মালিকদের প্রতিনিধিরা মাসিক সর্বনিম্ন মজুরি ৩,৬০০ টাকা প্রস্তাব করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আন্দোলন শুরু হয়।
তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় (চীন প্রথম)। এই খাতে বাংলাদেশ প্রতি বছর ২১ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার আয় করে। শিল্প বিশ্লেষকরা আশা করেন যে আগামী ৫ বছরে এই খাতে দ্বিগুণ আয় করা সম্ভব। এই শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে, যার মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ নারী।
বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও সেবা খাতে শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বিদেশী শক্তির উস্কানির পাশাপাশি গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে কিছু প্রকৃত ইস্যু বিদ্যমান, যা আলোচনা ও সমাধান করা প্রয়োজন। মজুরি নির্ধারণ, সময়মত মজুরি প্রদান না করা, কম মজুরি প্রদান এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন মজুরি প্রদান না করা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ইত্যাদি সাধারণত শ্রমিক আন্দোলন এবং শ্রমিক অসন্তোষের মূল কারণ। পাশাপাশি মালিকেরা তাদের কারখানা ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং সরকারের কর বিভাগ, চাঁদাবাজ ও ট্রেড ইউনিয়নের অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে। বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মালিক এবং শ্রমিকের সম্পর্ক শোষক-শোষিতের, অস্থিতিশীল এবং পরস্পরের প্রতি সংঘাতপূর্ণ। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে শ্রমিক এবং মালিকদের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং উৎপাদনমুখী হয়। খিলাফত সরকার মালিক এবং শ্রমিক – উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করবে যাতে অর্থনীতি শান্তিপূর্ণভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে এই বিষয় সম্পর্কিত কিছু মৌলিক ধারনা নিম্নে আলোচনা করা হলো –
১। মজুরি নির্ধারণ – একজন শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে একটি চুক্তি, যেখানে তার শ্রমের বিনিময়ে তাকে মজুরি প্রদান করা হয়। ইসলাম প্রত্যেক ব্যক্তিকে অনুমতি দেয় (এ ক্ষেত্রে গার্মেন্টস কারখানার মালিক তথা উৎপাদককে) শ্রমিককে তার শ্রম দানের জন্য নিয়োগ দিতে। পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
“… আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি, যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে…।” [সূরা আয্ যুখরূফ : ৩২]
শারী’আহ্ অনুযায়ী নিয়োগের সময় চারটি বিষয় শ্রমিকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে : কাজের প্রকৃতি, কাজের সময়কাল, মজুরি এবং উক্ত কাজে শ্রমিকের যোগ্যতা ও প্রচেষ্টার ধরন। ইসলামী নিয়ম অনুসারে কাজের পূর্বে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করে নিতে হবে। কারণ রাসূল (সা) বলেন, “যদি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমরা কোন শ্রমিককে নিয়োগ কর, তাহলে তাকে তার মজুরি সম্পর্কে জানিয়ে দাও।” (ইবনে মাস’উদ থেকে বর্ণিত)
একজন শ্রমিকের দৈনিক কত গ্রাম ক্যালরির প্রয়োজন হয় তার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। গৃহপালিত পশুপাখিদেরকে যেমন পর্যাপ্ত খাবার দেয়া হয়, যাতে তারা ডিম, দুধ বা মাংস দিতে পারে, তেমনি গার্মেন্টস শ্রমিকদেরও একইভাবে তুলনা করা হয়। সর্বনিম্ন মজুরির ধারনা কিছু দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করে দেয়। যখন সরকার কর্তৃক সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তখন অনেক নিয়োগকর্তা ঐ সুবিধাটা গ্রহণ করে এবং তারা সব কর্মচারী বা শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরিতে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করে। নিয়োগকর্তাদের দক্ষ কর্মীদের ছাটাই করার একটা প্রবণতা থাকে যখন তারা অধিক মজুরি দাবি করে এবং তাদের পরিবর্তে তারা অদক্ষ এবং আধা-দক্ষ শ্রমিকদের অধিক হারে নিয়োগ দান করে যাতে তাদেরকে সর্বনিম্ন মজুরি প্রদান করতে পারে।
সর্বনিম্ন জীবন যাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে মজুরি নির্ধারণ করার এই পুঁজিবাদী চিন্তা ইসলাম প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিকদের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে মজুরি নির্ধারণ পদ্ধতিও ইসলাম প্রত্যাখ্যান করে। অন্যান্য শিল্পখাত বা অন্য দেশের মজুরি কিংবা তথাকথিত আন্তর্জাতিক সর্বনিম্ন মানও (international minimum standard) মজুরি নির্ধারণের ভিত্তি হতে পারে না। মজুরি নির্ধারিত হবে শ্রম অথবা শ্রমিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুবিধার (benefit) ভিত্তিতে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যে সমাজে তারা বাস করবে সেই সমাজের জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী প্রাপ্ত সুবিধার মূল্যের (value) ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা মজুরি নির্ধারণ করবে।
২। মজুরি প্রদানের সময় – কারখানার মালিকদের একটা অভ্যাস হচ্ছে শ্রমিকদের দেরিতে মজুরি প্রদান করা। কয়েক মাসের মজুরি প্রদান না করার মানে হচ্ছে শ্রমিকদের এক প্রকার বন্দি করে রাখা। নিয়োগকর্তারা যুক্তি দেখান যে শ্রমিকদের যদি সব বেতন প্রদান করা হয়, তাহলে কর্মক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত থাকবে বা ক্ষেত্রবিশেষে তারা চাকরি ছেড়ে দিবে। প্রতি বছর বিশেষ করে ঈদের ছুটির আগে বকেয়া বেতন অতিরিক্ত সময়ের কাজের ভাতা এবং উৎসব বোনাসের জন্য শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে হয়। দেরীতে মজুরি প্রদান অথবা প্রদান না করার ব্যাপারে ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। বুখারী শরিফে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন,
“আল্লাহ্ আজ্জা ওয়া জাল বলেন, শেষ বিচারের দিনে আমি তিন ধরনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াব…এবং এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে একজন লোককে কাজে নিয়োগ করল এবং তার কাছ থেকে সে পূর্ণ কাজ করিয়ে নিল কিন্তু তাকে তার পূর্ণ মজুরি প্রদান করেনি।”
অন্য একটি হাদিসে আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই তাকে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।”
৩। জীবন ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা – গত এক বছরে রানা প্লাজা ধ্বংস এবং তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ড সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যেখানে সহস্রাধিক শ্রমিক মারা গেছে এবং অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়েছে। পাশাপাশি রুটিন মাফিক শ্রমিক বিক্ষোভ এবং দেশের গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত দালালরা আন্দোলনের নামে দেশের সরকারী ও বেসরকারী সম্পদ ধ্বংস করে চলছে। রাষ্ট্রযন্ত্র শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে কঠোরভাবে দমন করছে। এই ধরনের কাজ ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং ইসলামী রাষ্ট্র এই ধরনের যে কোন পরিস্থিতি শক্তভাবে মোকাবেলা করবে। ইসলামী রাষ্ট্র জীবনের নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং জনগণের সম্পদের নিরাপত্তা প্রদান করতে বাধ্য। আবু বকর (রা) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্র রাসূল (সা) বিদায় হজ্জের খুতবায় বলেন,
“তোমাদের একজনের রক্ত, সম্পদ, সম্মান অন্য আরেকজনের নিকট নিরাপদ ও পবিত্র যেমন নিরাপদ ও পবিত্র আজকের এই দিন, এই মাস এবং এই শহর।” (বুখারী ও মুসলিম)
৪। ট্রেড ইউনিয়ন – বর্তমান ব্যবস্থায় মনে করা হয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং সিবিএ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করবে। কিন্তু অতীতে এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে বিভিন্ন সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম বিশেষতঃ গার্মেন্টস খাত ও রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। খুব সীমিত পরিসরে ক্ষুদ্র ব্যক্তি পর্যায়ের স্বার্থরক্ষার উপর ট্রেড ইউনিয়ন এবং সিবিএ’গুলো গুরুত্বারোপ করে থাকে। বিগত বছরগুলোতে তারা রাজনৈতিক দল ও বিদেশী শক্তির স্বার্থ বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্রে যেকোন সংগঠনের প্রধান কাজ হবে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
“তোমাদের মধ্যে অবশ্যই একটি দল থাকবে যারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে এবং এরাই হবে সফলকাম।” [সূরা আলি ইমরান : ১০৪]
অতএব খিলাফত রাষ্ট্রে সাধারণভাবে সংগঠনের অনুমোদন দেয়া হবে কিন্তু বর্তমান সময়ের আদলে ট্রেড ইউনিয়নকে অনুমোদন দেয়া হবে না। যে কোন অবিচারের জন্য একজন শ্রমিক যে কোন সময় প্রতিকার চেয়ে আদালতে আবেদন করতে পারবে যেখানে কুর’আন ও সুন্নাহ্ অনুযায়ী বিচার ফায়সালা করা হবে।
৫। বিদেশী হস্তক্ষেপ – বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং বিদেশী শক্তি যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ বাংলাদেশের শিল্প সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের সাথে সরাসরি জড়িত। বিভিন্ন সংস্থা যেমন ইউএস এইড (USAID), ডিএফআইডি (DFID) ইত্যাদির মাধ্যমে বর্তমানে তারা অনেক এনজিওকে সাহায্য দিচ্ছে শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে তথাকথিত সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে। এছাড়াও কমপ্লায়েন্সের (compliance) নামে বিদেশী কোম্পানীগুলো স্থানীয় কারখানার মালিকদের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করে থাকে। বিদেশীদের একমাত্র উদ্দেশ্য এদেশের শিল্প খাতকে ততটুকু বিকশিত করতে দেয়া যা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে তারা তাদের উপর নির্ভরশীল করে রাখতে পারে। বিদ্যমান ইস্যু ব্যবহার করে তারা শ্রমিক অসন্তোষকে উস্কে দেয় যাতে এই দেশের শিল্পকারখানা সব সময় অস্থিতিশীল এবং ভঙ্গুর থাকে এবং তাদের খেয়াল খুশি মত আমাদের উপর কর্তৃত্ব করতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র কখনও কোন বিদেশী রাষ্ট্র, সংস্থা কিংবা কোম্পানীকে আমাদের শিল্পখাতে নাক গলানো বা কর্তৃত্ব করার সুযোগ দিবে না। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুর’আনে বলেন,
“আল্লাহ্ কখনই অবিশ্বাসীদেরকে বিশ্বাসীদের উপর বিজয় দান করবেন না।” [সূরা আন্-নিসা : ১৪১]
বরং খিলাফত রাষ্ট্রের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকবে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি ও একটি শক্তিশালী শিল্পভিত্তি গড়ে তোলা যাতে এ রাষ্ট্র পৃথিবীতে একটি পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র হবে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র যার প্রধান লক্ষ্য থাকবে সারা পৃথিবীকে ইসলাম দিয়ে শাসন করা। এই নীতির কারণে ইসলামী রাষ্ট্র সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিল্প ও সামরিক দিক দিয়েও শক্তিশালী হবে।
পরিশেষে বলা যায়, জীবনের সকল সমস্যার প্রকৃত সমাধান ইসলাম পরিপূর্ণভাবে দিয়ে থাকে। কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় সমস্যার ক্ষেত্রে ইসলাম থেকে আংশিকভাবে সমাধান নিয়ে আমরা সার্বিক পরিবর্তন আশা করতে পারি না। যখন খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত থাকবে তখন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। সকল প্রকার শোষণ, অন্যায় কর ও চাঁদা প্রদানসহ সকল জুলুম থেকে মানুষ মুক্ত হবে। ইসলামী মূল্যবোধ এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতাসহ জনগণকে শিক্ষিত করে তোলা হবে এবং রাষ্ট্র সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে। পৃথিবীতে এবং পরকালে শান্তি এবং সম্মানের সাথে বাস করার জন্য খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা আমাদের জন্য ফরয দায়িত্ব।
মুহাম্মদ রাইয়ান হাসান