بسم الله الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله
বর্তমান বিশ্বে মিডিয়ার ইসলাম-বিদ্বেষ নিয়ে নতুনভাবে অবতারণার কোন প্রয়োজন নেই। আমি শুধু কিছু বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই; হয়তো বা তা আপনার বিশ্বদর্শন [worldview] পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
এটি এমন একটি রূপক, একজন মিথ্যেবাদী শিকারি যে প্রতিনিয়ত মিথ্যে গল্প সাজায় তার বীরত্বের বহিঃপ্রকাশের জন্য; যদি ও সে অধিকাংশ সময় সে নিজে শিকার হওয়ার ভয়ে জবুথবু থাকে।
Let’s try listen it from horse’s mouth; as they say.
আপনি যদি Hollywood মুভির দর্শক হন, তবে আপনি একটা বিষয় নিঃসন্দেহে বুঝতে পারবেন যে US যখন যাদের সাথে শত্রুতাভাবাপন্ন অবস্থায় থাকে তখন তাদেরকে তথাকথিত ভিলেইন [Villain] হিসেবে তুলে ধরে। যখন জাপানের সাথে তাদের দ্বন্ধ ছিলো তখন তারা ছিলো তাদের মুভিগুলোর প্রধান ভিলেইন। তারা স্প্যানিশদেরকেও একইভাবে ফুটিয়ে তুলতো। এরপর, স্নায়ুযুদ্ধের সময় রাশানদেরকে। এছাড়া কালোবর্ণের নিগ্রোদেরকে, জ্যামাইকানদের, মেক্সিকানদের এইভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এইভাবে, ঢালাওভাবে stereotyping করার কারনটা ছিলো তাদের status quo বজায় রাখা।
আর, বর্তমান মিডিয়ার সবচেয়ে সহজপাচ্য ভিলেইন হলো মুসলিমরা।
এর কারন হলো, ইসলামের সাথে পশ্চিমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারনে।
“The war against Islam raised by US is a pre-emptive strike so that they can potentially eliminate the threat within….”
কি সেই potential threat? ইসলামের পুনর্জাগরণ এবং স্পেন থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এক খিলাফত।
নোয়াম চমস্কির একটি বইয়ে পড়ছিলাম।তার বইয়ে তিনি তুলে ধরেছেন তাদের তৈরী করা যুদ্ধ-আইন তারা কিভাবে লঙ্ঘন করছে। যে পরিমান সাধারন লোক এবং শিশু এসব আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
এইখানে তাদের নীতি হচ্ছে, “If you refused to become victim then you are rebellious i.e. terrorist.”
অনুরূপভাবে, ৯/১১, ৭/৭ এইসব ঘটনাকে মিডিয়া যেভাবে iconic বানিয়েছে, অনুরুপ ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে ইরাক, আফগানিস্তানে,ফিলিস্তিনে কিন্তু তাদের তো BBC, CNN, CBS, ABC, FOX এর মতো মিথ্যাচারী ইহুদিপুষ্ট মিডিয়া নেই। এইসব মিডিয়াই বর্তমান সময়ের ওয়ালিদ ইবন মুগীরাহ্, উতবা ইবন রবী’আ, উমাইয়া বিন খালাফ’ দের প্রতিনিধি।
মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা হচ্ছে, ‘If you consistently keep broadcasting lies, it will appear as truth.’
আর, একটি ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে ও ইসলাম-বিদ্বেষকে জ্বালানি দিচ্ছে কিছু পশ্চিমাদের দোসর। বাংলাদেশে তৈরী হচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী ছবি। আমাদেরকে এই বিষয়ে গাফেল থাকলে চলবে না।
এমনিতেই, অধিকাংশ লোকই স্নায়ু-অবসাদগ্রস্থতার কারনে নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা দিয়ে সত্য উদঘাটনে তৎপর নয়।
তবে, যারা করে তারা সত্য জেনে ইসলাম পালনে ব্রতী হচ্ছে।
আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনুল কারীমে বলেছেন:
يُرِيدُونَ لِيُطْفِؤُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
“তারা মুখের ফুৎকারে আল্লাহ্’র আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ্ তার আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।“ [সুরা সাফফ্: ৮]
আসুন আমরা সত্য জানায় ব্রতী হই।
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের অনুধাবন করার তাওফীক দিন।
امين .
سبحانك اللهم و بحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت أستغفرك و أتوب إليك
সায়্যিদ মাহমুদ গজনবী